ঢাকা: ভারত ছেড়েছেন দিল্লিতে নিযুক্ত সৌদি আরবের সেই কূটনীতিক, যার বিরুদ্ধে দুই নেপালি গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
ভারতে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাওয়ায় সৌদি সরকার তাকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে বলে বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ বলেন,‘আমরা জেনেছি দুই নেপালি নারী ধর্ষণে অভিযুক্ত সৌদি দূতাবাসের প্রথম সচিব মাজেদ হাসান আশুর ভারত ত্যাগ গেছেন। ’
তিনি বলেন, ‘ফার্স্ট সেক্রেটারি একজন কুটনীতিক, যিনি ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হন। ’
ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, কর্মরত দেশে নিয়োজিত কূটনীতিকদের গ্রেফতার, ফৌজদারি মামলা রুজু এবং সিভিল মামলায় দেওয়া যাবে না।
গত সপ্তাহে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) কাছ থেকে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে দিল্লির উপকণ্ঠে গুরগাঁওয়ে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে দুই নেপালি নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
তাদের অভিযোগ, তিন মাসের বেশি সময় ধরে ওই বাসায় আটকে রেখে গণধর্ষণ, নির্যাতন এবং না খাইয়ে রাখা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, নেপালি গৃহপরিচায়িকাদের পক্ষে বিচার চাওয়ায় সৌদি আরব সরকার ভারতকে মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেয়। এমনকি মি. আশুরকে নিদোর্ষও দাবি করা হয়।
তবে ভারতে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাওয়ায় ওই কূটনীতিককে দেশে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করছে সূত্র।
এদিকে বিষয়টিকে ‘সংবেদনশীল’ বলে উল্লেখ করেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোবাল।
তিনি বলেছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সৌদি আরব সফরের কার্যসূচি রয়েছে। এজন্য বিষয়টিকে সংবেদনশীল ভাবা হচ্ছে।
কেননা তেল সমৃদ্ধ দেশের পক্ষ থেকে বিনিয়োগ আমন্ত্রণ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা প্রসারিত করার কৌশল ভারতীয় নেতার সফর বিরল বটে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৫
এমএ/