ঢাকা: শরণার্থী ঠেকাতে তাদের ওপর টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করেছে হাঙ্গেরি পুলিশ। সার্বিয়া সংলগ্ন সীমান্ত এলাকায় হাঙ্গেরিতে প্রবেশের আশায় থাকা অভিবাসন প্রত্যাশীরা উত্তেজিত হয়ে পড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই কঠোরতা প্রদর্শন করা হয়।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দিনের শেষভাগে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ২৯ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে আটকও করা হয়।
হাঙ্গেরির এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, সার্বিয়ায় যেসব অভিবাসন প্রত্যাশী সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করছিল, তারা হঠাৎ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ও বোতল ছুড়তে শুরু করেন। সেই সঙ্গে তারা বেরিকেড ভাঙারও চেষ্টা করেন।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জর্জি বাকোন্দি জানিয়েছেন, একজন সন্ত্রাসীকেও আটক করেছে পুলিশ। তবে তার পরিচয় সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।
এদিকে, অস্ট্রিয়া ও হাঙ্গেরি সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় নতুন পথের সন্ধান শুরু করেছেন অভিবাসন প্রত্যাশী ও শরণার্থীরা। এরই অংশ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশ ক্রোয়েশিয়ায় ঢুকতে শুরু করেছেন তারা। দেশটির কর্তৃপক্ষও তাদের স্বাগত জানাচ্ছেন।
ক্রোয়েশীয় পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার থেকে তাদের সীমান্ত অতিক্রম শুরু করেছেন অভিবাসন প্রত্যাশীরা। তাদের নিবন্ধন প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসলেও ধারণা করা হচ্ছে, সীমান্তবর্তী পুলিশ স্টেশনগুলোয় নিবন্ধন শেষে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবে অভ্যর্থনা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, ক্রোয়েশিয়ায় প্রবেশ করা অভিবাসন প্রত্যাশী ও শরণার্থীদের বেশিরভাগই সিরিয়া ও আফগানিস্তান থেকে আগত।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৫
আরএইচ