ঢাকা: অর্থনৈতিক সংকটে থাকা গ্রিসে জাতীয় নির্বাচন চলছে। রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, সকাল ৭টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা) গ্রিসজুড়ে ভোট কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়। এরপর ভোট দিতে শুরু করেন নাগরিকরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোট কেন্দ্রগুলোতে নাগরিকদের ভিড় বাড়ছে। তবে, ভোটগ্রহণ চলছে শান্তিপূর্ণভাবে।
নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে ক্ষমতাসীন (অন্তর্বর্তীকালীন) বামপন্থি সিরিজা পার্টি ও রক্ষণশীল নিউ ডেমোক্রেসি পার্টি। নির্বাচন পূর্ববতী কয়েকটি জরিপে বলা হয়েছে, দু’দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও সামান্য ব্যবধানে জিতে যাবে সদ্যবিদায়ী প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সাইপ্রাসের সিরিজা পার্টি।
তবে, কোনো দল যদি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, সেক্ষেত্রে বিগত বারের মতো আবারও জোট সরকার গঠিত হতে পারে গ্রিসে।
নির্বাচনী প্রচারণা চলে শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত। নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রায় সবাই অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরানোর অঙ্গীকার দিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন।
রোববারের নির্বাচনের আগে আরও দু’টি নির্বাচন হয় অর্থনৈতিক সংগ্রামরত গ্রিসে। প্রথমে অনুষ্ঠিত জানুয়ারির নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে বামপন্থি সিরিজা পার্টি।
ওই সরকার গঠিত হওয়ার পর অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতায় চরম পরীক্ষায় পড়তে হয় ক্ষমতাসীনদের। অর্থনীতির গতি ফেরাতে বিরোধীদের সমালোচনা উপেক্ষা করে কৃচ্ছ্রতা সাধনের শর্তে আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের সঙ্গে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কর্মসূচি (বেইলআউট) চুক্তি সই করে সে সরকার। সে চুক্তি সই করার আগে জুলাইয়ে গণভোটের আহ্বান করা হয়। ওই ভোটেও সিরিজার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় গ্রিসের জনগণ।
কিন্তু চুক্তি সই হওয়ার পর সংসদে নিজ দলেরই কট্টরপন্থিদের বিরোধিতায় পড়েন প্রধানমন্ত্রী সাইপ্রাস। শেষ পর্যন্ত তিনি পদত্যাগ করে আগাম র্নিবাচনের ঘোষণা দেন। তার নির্বাচন আহ্বান সংসদে শক্ত অবস্থান নিয়ে ফেরার জন্যই বলে মনে করেন বিশ্লেষকদের কেউ কেউ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৫
এইচএ