ঢাকা: সৌদি আরবকে প্রতিশ্রুত নারী গৃহকর্মী দিতে পারছে না বাংলাদেশ। মোট পাঁচ লাখ নারী গৃহকর্মী দেওয়ার অঙ্গীকার করলেও গত ছয় মাসে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় শ্রম বাজারটিতে মাত্র দুই হাজার কর্মী দিতে পেরেছে ঢাকা।
স্থানীয় কর্মী নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আরব নিউজ বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) এ খবর দিয়েছে। প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ নারী গৃহকর্মী দেওয়ার বিষয়ে তাদের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, দু’পক্ষের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল, সে অনুযায়ী ঢাকার পক্ষ থেকে কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন রিয়াদ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের কর্মী নিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান মিশারি আল-তুফাইরি। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ আসলে সৌদিতে পুরুষ কর্মী পাঠাতে চায়, নারী কর্মী নয়। এটা এখন পরিষ্কার হয়ে গেছে।
আল-তুফাইরি অভিযোগ করেন, কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে চুক্তি লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো প্রতি কর্মীতে ২০ হাজার রিয়াল সার্ভিস ফি নিচ্ছে। এটা ঢাকা ও রিয়াদের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত ফি’র তিনগুণ বেশি।
তিনি জানান, প্রথম দফায় সৌদির নিয়োগকারী অফিসগুলো থেকে অগ্রিম ১০ হাজার রিয়াল নেয় ঢাকার এজেন্সিগুলো। তারপর কর্মীর ভিসা অনুমোদন হলে বাকিগুলো দিতে হয় এজেন্সিগুলোকে।
এ বিষয়ে সৌদি চেম্বার্স কাউন্সিলের মানবসম্পদ নিয়োগ কমিটির সাবেক সদস্য সাঈদ মুসাবি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী প্রতি কর্মীতে ৭ হাজার রিয়াল করে নেওয়ার কথা থাকলেও বাংলাদেশের এজেন্সিগুলো নিচ্ছে ২০ হাজার রিয়াল।
তিনি এ বিষয়ে সৌদি সরকারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, যেন বাংলাদেশের অনুমোদিত এজেন্সিগুলো কর্মী পাঠানোর কাজ করতে পারে তা নিশ্চিত করুন এবং সেক্ষেত্রে যেন দাফতরিক নিয়ম-কানুন মানা হয় তা-ও নিশ্চিত করুন।
মিশারি আল-তুফাইরি জানান, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গৃহকর্মী সরবরাহ কম হওয়ায় এখন বাধ্য হয়ে সৌদির নিয়োগকারীরা ইরিত্রিয়া থেকে কর্মী নিয়োগের চিন্তা করছে।
তিনি বলেন, আফ্রিকার দেশটি থেকে কর্মী নিতে প্রতিজনে ৮ হাজার করে সার্ভিস ফি দিলেই হবে। আর তারা সৌদিতে পৌঁছাতে পারবে ৩০-৪৫ দিনের মধ্যেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৫
এইচএ/