ঢাকা: শিক্ষাক্ষেত্রে ছেলে-মেয়ে সমতায় উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলছে, গড়ে বিশ্বের অর্ধেক দেশের স্কুলে ছেলে-মেয়ে সমানসংখ্যক রয়েছে।
আন্তর্জাতিক নারী শিশু দিবস উপলক্ষে সোমবার (১২ অক্টোবর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় জাতিসংঘ।
সংস্থাটিভুক্ত ১৯৩টি দেশ শিক্ষাক্ষেত্রে বেশ কিছু লক্ষ্য নির্ধারণ করে। এরমধ্যে ২০০০ সাল নাগাদ প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে ছেলে-মেয়ে সমতা, ২০০৫ সাল নাগাদ মাধ্যমিক শিক্ষাক্ষেত্রে ছেলে-মেয়ে সমতা এবং ২০১৫ সাল নাগাদ সব শিক্ষাক্ষেত্রে ছেলে-মেয়ে সমতা নিশ্চিতের আকাঙ্ক্ষা উল্লেখযোগ্য।
জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো এবং মেয়ে শিক্ষা উদ্যোগ ইউএনজিইআই’র তৈরি প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাক্ষেত্রে ছেলে-মেয়ে সমতায় গড়ে উন্নতি দেখা যাচ্ছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় সমতা আনার কৃতিত্ব দেখানো দেশের সংখ্যা ৩৬ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২-তে।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, বিশ্বের ৬৬ শতাংশ দেশ প্রাইমারি শিক্ষায় ছেলে-মেয়ে সমতা আনতে পেরেছে। আর ৫০ শতাংশ দেশ নিম্ন মাধ্যমিকে এবং ২৯ শতাংশ দেশ উচ্চমাধ্যমিকে ছেলে-মেয়ে সমতা আনতে পেরেছে।
শিক্ষায় ছেলে-মেয়ে সমতা আনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে আফগানিস্তান। দেশটির মতো অবস্থা আফ্রিকার দেশ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, চাদ, নাইজার, গিনি, ইরিত্রিয়া ও আইভরি কোস্টেরও।
বিশ্বজুড়ে প্রায় ৫ কোটি ৮০ লাখ স্কুল যাওয়ার মতো বয়সী শিশু শিক্ষাবঞ্চিত বলেও জানানো হয় জাতিসংঘের প্রতিবেদনে।
এ বিষয়ে ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা এক বিবৃতিতে বলেন, একটি মেয়েকে শিক্ষিত করার অর্থ একটি জাতিকে শিক্ষিত করা। মেয়েদের শিক্ষিত করা ছাড়া এবং তরুণী ও মায়েদের ক্ষমতায়ন ছাড়া কোনো প্রচেষ্টাই সফল হয় না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৫
এইচএ