ঢাকা: সামনে থেকে হাতির পাল দেখার শখ ছিল তার অনেকদিনের। নিজের ইচ্ছার কথা বহু বার জানিয়েছিলেন পরিচিতদের।
কিন্তু সামনে থেকে হাতির পালের ছবি তুলতে গিয়ে হাতির হামলায় গুরুতর জখম হন মেদিনীপুর শহরের ওই কংগ্রেস কাউন্সিলর। মেদিনীপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে মেদিনীপুর সদর ব্লকে হাতির তাণ্ডব চলছিলো। প্রায় দেড়শ‘টি হাতি চারটি দলে ভাগ হয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলো পুরো এলাকা। এ পরিস্থিতিতে লোকালয় থেকে হাতি তাড়ানো শুরু করে স্থানীয় বন দফতর। সেই তাড়া খেয়ে শুক্রবার সকালে হাতির একটি দল মেদিনীপুরের কংসাবতী পেরিয়ে মানিকপাড়ায় ঢোকে। এক পরিচিতের মাধ্যমে খবরটা পৌঁছয় কৌস্তভের কাছে। সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি তিনি।
বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ আট বন্ধু মিলে মোটরবাইক চেপে রওনা হন ত্রিশ কিলোমিটার দূরের মানিকপাড়ার জঙ্গলের উদ্দেশে। তখন সেখানে ভিড় করেছিল গোটা দশেক হাতি। রাস্তা থেকেই হাতির পাল দেখতে পেয়ে মোটরবাইক রেখে জঙ্গলে দৌড় দেন কৌস্তভ ও তাঁর সঙ্গীরা। হাতের মোবাইলে উঠতে থাকে পরের পর ছবি। আচমকা একটা দাঁতাল হাতি ঘুরে দাঁড়ায়। অন্য সঙ্গীরা পালাতে পারলেও পারেননি কৌস্তভ। পরে সঙ্গীরা এসে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তিনি।
স্থানীয় বন দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘জংলি হাতির থেকে সব সময় নিরাপদ দূরত্বে থাকা উচিত। অত্যুৎসাহীরা সেটা ভুলে যান। সব সময়ে তাঁদের সরিয়ে দেওয়াও সম্ভব হয় না। সে জন্যই এই দুর্ঘটনা। ’’
বাংলাদেশ সময়: ১২১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৫
আরআই