ঢাকা: অবশেষে দেশে ফিরলেন বাস্তবের ‘মুন্নি’। দীর্ঘ ১১ বছর পর সোমবার (২৬ অক্টোবর) দেশের মাটিতে পা রাখলেন তিনি।
অবশ্য, বৈধ সব দরোজা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ চলচ্চিত্রে ঘরে ফিরতে মুন্নিকে (হারশালি মালহোত্রা) সীমান্তের চোরাইপথ পেরিয়ে পুলিশি ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হলেও ‘বাস্তবের মুন্নি’কে এ ধরনের নাটকীয়তায় পড়তে হয়নি।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় একটি বিশেষ উড়োজাহাজে চড়েই করাচি থেকে ভারতে ফেরেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে পাকিস্তানি এনজিও ইধি ফাউন্ডেশনের পাঁচজন সদস্যও ছিলেন। আর, দিল্লির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গীতাকে স্বাগত জানান স্বজন, পাকিস্তানের হাইকমিশনার আব্দুল বাসিত ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, ইতোমধ্যেই ১১ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া ভারতীয় মুক ও বধির শিশু হিসেবে শনাক্ত হলেও ডিএনএ পরীক্ষার ধাপ পেরোতে হবে গীতাকে। তারপরই তিনি বাবা জনার্দন মাহাতের ঘরে ফিরবেন। ঘরে ফেরার আগ পর্যন্ত গীতা মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে একটি এনজিওর তত্ত্বাবধানে থাকবেন।
গীতা মুক ও বধির। ধারণা করা হয়, ১১ বছর বয়সে তিনি কোনোভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তানে প্রবেশ করেন। নিজের নাম-পরিচয় বা ঠিকানা না বলতে পারায় পাকিস্তান রেঞ্জার্স তাকে ইধি ফাউন্ডেশন নামে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দেয়। ইধি ফাউন্ডেশনে তার নাম দেওয়া হয় ‘গীতা’।
এরপর কেটে যায় এক দশকেরও বেশি সময়। কিন্তু ঘরে ফেরা হয় না গীতার। সম্প্রতি বলিউডে মুক্তি পায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ চলচ্চিত্রটি। ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশেই বেশ সমাদর পায় এ ছায়াছবি। এর মূল চরিত্র মুন্নির হারিয়ে যাওয়ার সঙ্গে অনেকটা মিলে যায় গীতার ঘটনা। তারপর থেকেই জোরোশোরে শুরু হয় তার আসল পরিচয়ের সন্ধান।
গত আগস্টে ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাস কর্তৃপক্ষ ই-মেইলের মাধ্যমে বিহারে বসবাসরত গীতার পরিবারের ছবি ইধি ফাউন্ডেশনে পাঠায়। ওই ছবিগুলো দেখে গীতা তার পরিবারকে শনাক্ত করে বলে জানায় ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৫
আরএইচএস/এইচএ/