ঢাকা: অভিবাসন প্রত্যাশীদের স্রোতে এবার ভাটা চাইছে জার্মানি। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে এই দেশটিই অভিবাসী সংকট মোকাবেলায় সবচেয়ে উদারতার পরিচয় দিয়ে এসেছে এতোদিন।
অস্ট্রিয়ার সঙ্গে জার্মানির সীমান্তের দৈর্ঘ আটশ কিলোমিটার। এই বিশাল সীমান্ত রেখায় প্রবেশদ্বারগুলোর পাঁচটি বাদে বাকিগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। অস্ট্রিয়ার সঙ্গে আলোচনা করেই এমন পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে জার্মান কর্তৃপক্ষ।
বর্তমান পরিস্থিতিতে অস্ট্রিয়া সংলগ্ন জার্মানির বাভারিয়া এলাকায় দিনে কয়েক হাজার করে অভিবাসন প্রত্যাশী প্রবেশ করছেন। সেখানকার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিষয়টি তদারকিতে অস্ট্রিয়া তেমনভাবে সহায়তা করছে না।
এদিকে, অস্ট্রিয়া ছাড়াও অনেক শরণার্থী ও অভিবাসন প্রত্যাশী শূন্য ডিগ্রি তাপমাত্রাকে উপেক্ষা করে গ্রিস হয়ে জার্মানি পৌঁছানোর চেষ্টায় রয়েছেন। জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই দেশের প্রবেশদ্বারগুলোয় নতুন নিয়ম চালু করা হবে।
বাভারিয়ার এক রাজনীতিক জানিয়েছেন, অভিবাসন প্রত্যাশীদের ব্যাপারে নতুন যে চুক্তিটি সম্পাদন হয়েছে, তা বলবৎ হলে অস্ট্রিয়ার সঙ্গে অনুমোদিত পাঁচটি প্রবেশদ্বার দিয়ে ঘণ্টায় ৫০ জনের বেশি জার্মানিতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
এদিকে, জার্মানির এমন সিদ্ধান্তকে ‘কৌতুক’ আখ্যা দিয়ে অস্ট্রীয় পুলিশের এক মুখপাত্র দাবি করেছেন, স্লোভেনিয়া থেকে দিনে ১১ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী আমাদের দেশে প্রবেশ করছে।
চলতি বছর জার্মানি আট লাখ আশ্রয়প্রার্থীকে প্রবেশ করতে দেবে বলে এর আগে জানিয়েছিল। এরই অংশ হিসাবে দেশটি এখনও তার প্রবেশদ্বারগুলো উন্মুক্ত রেখেছে। তবে দিন দিন স্রোতের তীব্রতা বাড়তে থাকায় কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মান কর্তৃপক্ষ। জার্মান পুলিশ জানিয়েছে, শুধুমাত্র বুধবারই (২৮ অক্টোবর) বাভারিয়া সীমান্ত দিয়ে আট হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী প্রবেশ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৫
আরএইচ