ওয়াশিংটন: তিব্বতের প্রতি চীনের আচরণকে শিশুসুলভ এবং চীনাদের মস্তিস্কে কমতি আছে বলে মন্তব্য করেছেন তিব্বতীয় ধর্মগুরু দলাইলামা। একই সঙ্গে চীন এই আচরণ পরিবর্তন করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্প্রতি তিব্বতীয় এই ধর্মগুরু যুক্তরাষ্ট্রে সফর করছেন। সেখানে তিনি বিশ্বনেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে বিভিন্ন স্থানে সভা সেমিনার করছেন এবং তিব্বতের ওপর চীনের আধিপত্যবাদী আচরণের তীব্র সমালোচনা করছেন।
এদিকে চীনও তাকে সন্নাসীর পোশাকে মোড়া নেকড়ে বলে অভিহিত করছে।
ওয়াশিংটনের রোলিং স্টোন ম্যাগাজিনের সঙ্গে দীর্ঘসময় ধরে দেয়া বক্তব্যে দলাইলামা বলেন, ‘আমাকে তিব্বতের জনগোষ্ঠির কাছে নেতিবাচক প্রমাণ করার জন্য চীনের শাসকরা তিব্বত এবং চীনের উভয় জনগণকেই পটানোর চেষ্টা করছে। ’
‘তারা আমাকে শতভাগ নেতিবাচক প্রমাণ করার জন্য তারা এমন সব শব্দ ব্যবহার করছে। তারা আসলে নিজেদেরই সন্মানহানি করছে। আমি মনে করি এসব শিশুসুলভ আচরণ এবং খুবই বোকামো। তাদের কেউ বিশ্বাস করে না বলেও স্টোন ম্যাগাজিনে দেয়া বক্তব্যে বলেন দলাইলামা। ’
দালাইলামা আরও বলেন, ‘সাধারণত মানুষের মস্তিস্কের একটা অংশ গঠিত হয় সাধারণ জ্ঞান দিয়ে। কিন্তু চীনের ওই প্রথমসারির নেতাদের মস্তিস্কে ওই অংশটুকু নেই। গত বছর আমি যখন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে দেখা করেছিলাম তখন আমি তাকে বলেছিলাম যে, আপনার উচিৎ ছোটো একটা অপারেশন করে চীনাদের মাথায় মস্তিস্কের ওই অংশটুকু স্থাপন করে দেওয়া। ’
গত ১৬ জুলাই দালাইলামা আবারও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে দেখা করে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।
উল্লেখ্য, দালাইলামা ১৯৫৯ সালে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। দলাইলামা দীর্ঘদিন ধরে তিব্বতের জনগোষ্ঠির অধিকার এবং সার্বভৌমত্বের দাবিতে নির্বাসত হয়ে আছেন। অপরদিকে মার্কিন প্রশাসনের হয়ে বারাক ওবামা স্বয়ং বলেছেন যে, তিব্বতকে যুক্তরাষ্ট্র চীনের অংশ হিসেবেই মনে করে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১১