আম্মান: জর্দানের রাজধানী আম্মানে সরকার বিরোধী শত শত বিক্ষোভকারী শুক্রবার গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। এ সময় তারা দেশটির সংস্কার প্রক্রিয়ায় ওয়াশিংটনের অযাচিত হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকায় আগুন ধরিয়ে দেয়।
প্রায় তিনশত বিক্ষোভকারী, যাদের অধিকাংশই বামপন্থী এবং জাতীয়তাবাদী ‘আমেরিকার মুখে বিষ’ বলে স্লোগান দেয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের পতাকায় আগুন ধরিয়ে দেয়। দেশটিতে কয়েক মাস ধরে গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ চলে এলেও এদিনই প্রথম জর্দানবাসী আমেরিকার বিরদ্ধে তাদের ঘৃণা দেখালো।
যদিও রাজতান্ত্রিক ওই দেশটিতে এখনও অন্য আরব এবং আফ্রিকার দেশ যেমন; মিশর, তিউনিসিয়ার মতো গণবিক্ষোভ হয়নি।
বিক্ষোভকারীরেদ অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র তাদের বিক্ষোভ থামানোর চেষ্টা করছে। গণতন্ত্রপন্থীদের নানা উপদেশ দেওয়া এবং তাদের সঙ্গে মার্কিন কূনীতিকদের সাক্ষাতের চেষ্টা ওই উদ্দেশ্যেই করা হচ্ছে বলে তাদের দাবি। সংস্কার প্রচেষ্টার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন জর্দান সরকারের প্রশংসার করার সমালোচনা করছেন তারা।
মোহাম্মদ সাফিন (২৮) নামের একজন সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারী বলছিলেন, ‘আমাদের ওয়াশিংটনের সাহায্যের দরকার নেই, আমরা তাদের কাছ থেকে কোন উপদেশ শুনতে চাই না। ’
তিনি আরো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বছরের পর বছর যাদের সমর্থন যোগাচ্ছে তারা আমাদেরই লোকজনদের হত্যা করছে। এখন আমাদেরকেই এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। ’
উল্লেখ্য, জর্দান যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র।
শহরতলীর আল হুসেনি মসজিদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করে যাওয়া ওই বিক্ষোভে বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী মারুফ-আল বাখিতের পদত্যাগ দাবি করে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি বাখিত একজন পদস্থ সাবেক জেনারেল যার পক্ষে পরিবর্তন আনা অসম্ভব। বাদশা আবদুল্লাহ দ্বিতীয়ের প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার রদবদলের প্রসঙ্গ টেনে ইব্রাহিম আলুস নামের একজন সাধারণ বিক্ষোভকারী বলছিলেন, ‘আমরা পরিবর্তন বলতে শুধু এটা চাই না। ’
এর আগে বাদশাহ আবদুল্লাহ বিক্ষোভকারীদের ভোটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার সদস্যদের বেছে নেয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। সম্প্রতি তিনি তাদের নিয়োগ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১১