ঢাকা: শক্তিমান বাঙালি সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। মহাশ্বেতার মৃত্যুতে তার আলোচিত বই উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলে ফেলেছেন আরেক বাঙালি সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর বইয়ের নাম।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বিকেলে মহাশ্বেতার মৃত্যুর খবর পেয়েই সন্ধ্যায় টুইট করেন সুষমা। সেখানে তিনি বলেন, “তার ‘প্রথম প্রতিশ্রুতি’ এবং ‘বকুল কথা’ বই দু’টি আমাকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে। মহাশ্বেতা দেবীজির প্রতি আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য। ”
অথচ উল্লিখিত বই দু’টির কোনোটিই মহাশ্বেতা দেবীর লেখা নয়, বরং আশাপূর্ণা দেবীর লেখা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, শোক জানাতে গিয়ে মহাশ্বেতা দেবী ও আশাপূর্ণা দেবীকে গুলিয়ে ফেলেছেন ভারতের অন্যতম প্রধান গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়টির সর্বোচ্চ কর্তা।
৯০ বছর বয়সী ‘হাজার চুরাশির মা’ খ্যাত মহাশ্বেতা বৃহস্পতিবার প্রয়াত হলেও আশাপূর্ণা দেবী পরলোকে যান ১৯৯৫ সালের ১৩ জুলাই।
মহাশ্বেতা দেবীর বিখ্যাত উপন্যাসগুলো হলো ‘হাজার চুরাশির মা’, ‘রুদালি’, ‘মাট্টি মায়’। এছাড়াও তার উল্লেযোগ্য গ্রন্থ হলো- অরণ্যের অধিকার, নৈঋতে মেঘ, অগ্নিগর্ভ, গণেশ মহিমা, চোট্টি মুণ্ডা, তীর, শালগিরার ডাকে, নীল ছবি, বন্দোবস্তী, আই সি পি ৩৭৫, সাম্প্রতিক, প্রতি চুয়ান্ন মিনিটে, মুখ, কৃষ্ণা দ্বাদশী, ৬ ডিসেম্বরের পর, বেনে বৌ, মিলুর জন্য, ঘোরানো সিঁড়ি, স্তনদায়িনী, লায়লী আশমানের আয়না, আঁধার মানিক, যাবজ্জীবন, শিকার পর্ব, ব্রেস্ট গিভার, ডাস্ট অন দ্য রোড, আওয়ার ননভেজ কাউ, বাসাই টুডু, তিতু মীর, ঊনত্রিশ নম্বর ধারার আসামী, প্রস্থানপর্ব ও ব্যাধখণ্ড।
আর ‘প্রথম প্রতিশ্রুতি’ ও ‘বকুল কথা’ ছাড়া আশাপূর্ণা দেবীর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো- সুবর্ণলতা, নিলয়-নিবাস, দিব্যহাসিনীর দিনলিপি, সিঁড়ি ভাঙা অঙ্ক, চিত্রকল্প, দৃশ্য থেকে দৃশ্যান্তরে, চাবি বন্ধ সিন্দুক, অগ্নিপরীক্ষা, আর এক আশাপূর্ণা, মনের মুখ, নষ্টকোষ্ঠী, বালুচরী, শৃঙ্খলিতা, সুয়োরানীর সাধ, বালির নিচে ঢেউ, বলয়গ্রাস, যোগবিয়োগ, নির্জন পৃথিবী, ছাড়পত্র, প্রথম লগ্ন, উত্তরলিপি, তিনছন্দ, মুখররাত্রি, নদী দিক হারা, একটি সন্ধ্যা একটি সকাল, উত্তরণ, জহুরী, মায়াজাল, প্রেম ও প্রয়োজন, নবজন্ম, শশীবাবুর সংসার, উন্মোচন, বহিরঙ্গ, বেগবতী ও আবহ সঙ্গীত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৬
এইচএ/