ঢাকা: সম্প্রতি তুরস্কে ঘটে যাওয়া ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশটির প্রায় ১৩০টিরও বেশি সংবাদমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে এরদোগান সরকার।
শুধু বন্ধ করেই ক্ষান্ত হয়নি, এবার বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকদেরও আটক করে জেলে ঢোকানো হচ্ছে।
রোববার (৩১ ঘণ্টা) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
খবরে বলা হয়, তুরস্কের নামকরা এক সাংবাদিককে আটক করতে সেখানকার ইরজুরুম এলাকায় ওই সাংবাদিকের বাসায় অভিযান চালিয়েছে তুর্কি পুলিশ। এ সময় ওই সাংবাদিককে না পেয়ে তার স্ত্রীকে জিম্মি করে তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত ওই সাংবাদিক আত্মসমর্পণ না করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তার স্ত্রীকে জিম্মি করে রাখা হবে।
জানা যায়, এরদোগান সরকার দেশটির ৮৮ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এরমধ্যে ওই সাংবাদিকও আছেন।
বুলেন্ট করচু নামের ওই সাংবাদিক দেশটির আক্সিওন নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার টপ এডিটর এবং ওয়ারিনা বাকিস নামে একটি দৈনিক পত্রিকার এডিটর-ইন-চিফ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চলতি সপ্তাহে ওই পত্রিকাগুলো বন্ধ করে দেয় সরকার।
বুলেন্টের ছেলে এক টুইটার বার্তায় জানান, পুলিশ তাদের হুমকি দিয়ে বলেছে- যদি বুলেন্ট নিজ ইচ্ছায় আত্মসমর্পণ না করেন তাহলে এক এক করে পরিবারের সবাইকে উঠিয়ে নেওয়া হবে।
এর আগে ২৯ জুলাই দেশটিতে অভিযান চালিয়ে অন্তত ১৭ জন সাংবাদিককে আটক করেছে এরদোগান প্রশাসন।
দেশটির প্রগ্রেসিভ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আহমেদ আবাকে বলেন, সাংবাদিকদের এক ব্যাগে ভরতে চাচ্ছে সরকার।
‘চলমান অবস্থা সব সাংবাদিকদের জন্য উদ্বেগজনক’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে সাংবাদিক নির্যাতনের এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তুমুল প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, জুলাই ৩১,২০১৬
আরএইচএস/এমএ