ঢাকা: ভারতের ৭০তম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে দেশের অর্থনীতি, উন্নয়ন এবং সাম্প্রতিক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ে নানা কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি।
সোমবার (১৫ আগস্ট) দিল্লির লালকেল্লায় দেওয়া সে দীর্ঘ বক্তৃতা থেকে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য ১০টি বিশেষ কথা তুলে ধরা হচ্ছে।
১. সস্তা জনপ্রিয়তার পথে না হেঁটে আমি সংস্কার, বাস্তবায়ন ও পরিবর্তনের (রিফর্ম, পারফর্ম অ্যান্ড ট্রান্সফর্ম) কৌশল নিয়ে এগোবার চেষ্টা করেছি।
২. এখন ১২৫ কোটি ভারতবাসীর দায়িত্ব হলো এই ‘স্বরাজ’কে (স্বাধীন দেশ) ‘সুরাজ্যে’ (সুন্দর-সুখী দেশ) পরিণত করা। সংসদ থেকে পঞ্চায়েত, গ্রামপ্রধান থেকে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে নিজের দায়িত্ব বাস্তবায়ন করতে হবে। তারপরই ‘সুরাজ্য গড়ার স্বপ্ন পূরণ হবে।
৩. দেশ সন্ত্রাস ও মৌলবাদের কাছে মাথা নত করবে না। তরুণদের উচিত সহিংসতা পরিহার করে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসা।
৪. সরকারের কার্যক্রমের জবাবদিহিতা বজায় রাখা সহজ। কিন্তু সেসব উদ্যোগের বিষয়ে ‘গভীর জ্ঞান’ রাখা মুশকিল। আজ আমি ‘কার্য’র চেয়ে ‘কার্য সংস্কৃতি’ নিয়ে বেশি কথা বলতে চাই।
৫. আমরা মূলস্ফীতির হার ৬ শতাংশের নিচে নামিয়ে এনেছি। গরিবের খাবারের প্লেট যেন এই মুদ্রাস্ফীতিতে প্রভাবিত না হয় সেজন্য কাজ করছি আমরা।
৬. আমাদের সামাজিক ঐক্য গুরুত্বপূর্ণ। শ্রেণি-বিশ্বাসের বিভাজন জাতিকে আঘাত করে। এসব ইস্যুতে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।
৭. সামাজিক অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে লড়তে হবে। আমাদের উচিত সামাজিক ন্যায়বিচারকে সমর্থন করা।
৮. জনগণ আয়কর কর্তৃপক্ষের কথা শুনলেই আঁতকে উঠে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণি। এই অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে আমাদের। আগে একটি পাসপোর্ট পেতে কয়েক মাস লেগে যেতো। এখন মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যাপার। ‘সুরাজ্য’ গড়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা গুরুত্বপূর্ণ।
৯. একটা সময় ছিলো, যখন সরকারের বিরুদ্ধে চারদিক থেকে অভিযোগ আসতো। এখন সরকারের প্রতি চারদিক থেকে প্রত্যাশার কথা আসে।
১০. সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলায় পাকিস্তানের বেলুচ জনগণ আমাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছে। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৬
এইচএ/
** স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির