ঢাকা, সোমবার, ১৮ ভাদ্র ১৪৩১, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ সফর ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ভার্জিন থেকে যাচ্ছে ছেলে-মেয়েরা, উদ্বিগ্ন জাপান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৬
ভার্জিন থেকে যাচ্ছে ছেলে-মেয়েরা, উদ্বিগ্ন জাপান প্রতীকী ছবি

ঢাকা: জাপানের জনসংখ্যা বিষয়ক সমস্যা সবার জানা। দেশটিতে সবচেয়ে বেশি বয়স্ক লোকের বসবাস।

একইসঙ্গে জন্মহারও সংকুচিত দেশটিতে। বিস্ময়কর একলা (সিঙ্গেল) নর-নারীর সংখ্যাও। সরকারের অনেক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও জাপানিদের প্রণয় বা পরিণয়ে আগ্রহী করা যাচ্ছে না।

এবার আরও উদ্বেগজনক তথ্য পেল দেশটির সরকার। স্থানীয় জনসংখ্যা ও সামাজিক নিরাপত্তা গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিচালিত এক গবেষণা বলছে, ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সী ৭০ শতাংশ অবিবাহিত পুরুষ এবং ৬০ শতাংশ অবিবাহিত নারী প্রেমের সম্পর্কে নেই। আর এই বয়সীদের মধ্যে ৪২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৪ দশমিক ২ শতাংশ নারীই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, তারা এখনও কুমার অথবা কুমারী।

স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে খবরটি। ওই মাধ্যমের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক অন্যান্য সংবাদমাধ্যম গবেষণার তথ্যটি প্রকাশ করেছে।

সংবাদমাধ্যম জানায়, প্রতি পাঁচ বছর পরপর এ ধরনের গবেষণা চালিয়ে থাকে ইনস্টিটিউটটি। এর আগে তারা যখন ১৯৮৭ সালে একই বয়সী নারী-পুরুষের ওপর গবেষণা চালিয়েছিল, তখন জানা যায়, ৪৮.৬ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৯.৫ শতাংশ নারীই অবিবাহিত অথবা শারীরিক সম্পর্কে জড়াননি। ২০১০ সালে এই গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, ৩৬.২ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৮.৭ শতাংশ নারীই কুমার বা কুমারী।

গবেষণায় অংশ নেওয়া নারী-পুরুষরা জানান, তারা কিছুক্ষেত্রে বিয়ে করতে চান। কিন্তু কী সেসব ‘ক্ষেত্র’ তা স্পষ্ট করেননি।

গবেষণা দলের প্রধান ফুতোসি ইশি বলেন, তারা (জাপানি নারী-পুরুষরা) শেষ পর্যন্ত আংটি বদল করতে চান। কিন্তু যখন নিজেদের স্বপ্ন ও বাস্তবতার মধ্যে ফারাক দেখেন, তখন আবার মুখ ঘুরিয়ে নেন। এই ফারাকটা অর্থনৈতিক এবং জীবন যাপনকেন্দ্রিক। সেকারণেই লোকজন একেবারে শেষ দিকে বিয়ে করে অথবা একলা থেকে যায়, যার ফলে সংকুচিত জাতীয় জন্মহার।

সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, প্রধানমন্ত্রী শিনঝো আবের নেতৃত্বাধীন সরকার জাপানে জন্মহার বাড়াতে নানামুখী কর্মসূচি চালাচ্ছে। এরমধ্যে তারা লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ২০২৫ সালের মধ্যে জন্মহার ১.৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১.৮ শতাংশ করার। সেজন্য শিশু পালনের ক্ষেত্রে নানা সুবিধা, বিবাহিত যুগলের জন্য করছাড়সহ নানা প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই ফল মিলছে না যেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৬
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।