ঢাকা, সোমবার, ১৮ ভাদ্র ১৪৩১, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ সফর ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ছবিতে ওবামা-মিশেলের ভালোবাসার মুহূর্তগুলো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৬
ছবিতে ওবামা-মিশেলের ভালোবাসার মুহূর্তগুলো ছবি: টাইম ম্যাগাজিন থেকে সংগৃহীত

ঢাকা: একজন বারাক ওবামা। আরেকজন মিশেল রবিনসন।

প্রথমজন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট। দ্বিতীয়জন সেই ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্টের অর্ধাঙ্গিনী। দুনিয়াজুড়ে  দু’জনের ক্ষমতাধর ব্যক্তিত্বের পরিচয় থাকলেও তাদেরও আছে প্রেম-ভালোবাসা-খুনসুটির ছোট ছোট গল্প। দু’জন দু’জনের ছায়া, ভালোবাসার আশ্রয়স্থল, সুখ-দুঃখ অথবা না বলা কথা বলে ফেলার ‘একমাত্র’ বিশ্বস্তজন।

বিশ্বজুড়ে এ দুই যুগল আলোচনায় আসেন ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময়। কিন্তু তাদের ভালোবাসার পথচলার সূচনাটা তারও প্রায় দেড়যুগ আগে, ১৯৮৯ সালে। একটি ল’ ফার্মে কাজ করার সূত্রে পরিচয়। ব্যক্তিত্বে মুগ্ধতা থেকে ভালো লাগা, ভালো লাগা থেকে ভালোবাসা। প্রায় ৩ বছরের মতো চলে প্রণয়। বোঝাবুঝিটা আরও সুমধুর হয়ে ওঠায় ১৯৯২ সালে দু’জন সে সম্পর্ককে রূপ দেন পরিণয়ে। তারপর দু’জনে একসঙ্গে কাজ করে, দু’জন দু’জনকে অনুপ্রেরণা, ভালোবাসা, আশ্রয় এবং ছায়া দিয়ে উঠেছেন বিশ্বের সবেচেয়ে ক্ষমতাধর ও অভিজাত প্রাসাদ হোয়াইট হাউসে। এরমধ্যে তাদের ঘর আলোকিত করেছে মালিয়া ও সাশা নামে দুই কন্যাসন্তান।  

এই প্রাসাদে সবচেয়ে ব্যস্ততম আট বছর পার করে তারা নভেম্বরের পর আবার চলে যাবেন নিজেদের সাজানো নতুন কোনো ঘরে। হয়তো চলে যাবেন ২০০৭ সালের আগেকার সময়ের মতো মিডিয়ারও আড়ালে। কিন্তু সময় সাক্ষী থাকবে ওবামা-মিশেলের ভালোবাসার মুহূর্তগুলোর, ঠিক পার করে আসা ২৭ বছরের মতো।

দীর্ঘ সেই ২৭ বছরের পথচলার বিভিন্ন মুহূর্তে ওবামা-মিশেলের ভালোবাসা বিনিময় বা খুনসুটির কিছু মুহূর্তগুলো ক্যামের‍াবন্দি হয়েছে নানা সময়ে। তুলেছেন ওবামা-মিশেলের ঘনিষ্ঠজন ও হোয়াইট হাউসের চিত্রগ্রাহকরা।  সেই ছবিগুলো দেখে নিন বাংলানিউজের পাঠকেরা।
‘দু’জনে এক হয়েছি। ’ এ কথাই কি চোখের ইশারায় বলছিলেন মিশেল। কেনিয়ায় ওবামার পৈতৃক ভিটায় ১৯৯২ সালে। দু’জনে তখন বাগদান সেরেছেন।
ওবামা-মিশেল আনুষ্ঠানিকভাবে দু’জন দু’জনের। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পারিবারিক ছবিতে দু’জন। সেদিন ছিল ১৯৯২ সালের ১৮ অক্টোবর।  
২০০৪ সালের ৮ ডিসেম্বর। শিকাগো ইকোনমিক ক্লাবে একটি অনুষ্ঠানে যাবার প্রস্তুতি। তার আগে কী কথা যেন সেরে নিচ্ছিলেন।
শিকাগোয় একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ওবামা। তারপর দুই কন্যা মালিয়া ও সাশাসহ স্টেজে আসেন। এসময় তাদের ওপর বর্ষণ হতে থাকে কাগজের ফুল (কনফেটি)।
২০০৮ সালের অক্টোবরে নিউইয়র্ক সিটির হ্যামারস্টেইন থিয়েটারের অতিথি আসনে বসে কনসার্ট উপভোগ করছিলেন দু’জনে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় মঞ্চে দু’জনের আলিঙ্গন। অপরাহ উইনফ্রে যেন বলছিলেন, ‘ও হো, যুগল এখানেও ভালোবাসা?’ সময়টা ২০০৮ সালের ৯ ডিসেম্বর।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন। সেই খুশিতে বোধ হয় ‘লোকলজ্জা’ও ভুলে গেছেন ওবামা। তা না হলে একেবারে সবার সামনে এলেভেটরেও ভালোবাসার প্রকাশ করতে হবে।
কী কথা বললেন ওবামা যে মিশেল লজ্জাও পাচ্ছেন, হাসছেনও! ওয়াশিংটন কনভেনশন সেন্টারে ২০০৯ সালের ২০ জানুয়ারি, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওবামার প্রথম দিন তোলা এ ছবি।
খাবার হাতে এলেভেটরে উঠে গেলেন ওবামা। মিশেল কি বলছিলেন, ‘এখনও খাচ্ছো?’
হোয়াইট হাউসের ডিপ্লোম্যাটিক রুম। কোথাও কেউ নেই। এই সুযোগে ওবামা-মিশেলের কানাকানি!


বৃষ্টি অথবা দু’টি ছাতাও আলাদা করতে পারলো না ওবামা-মিশেলের হাত।  
কাছের ন্যাশনাল মল কমপ্লেক্সের আকাশে চলছে আতশবাজি। হোয়াইট হাউসের ছাদে বসে একান্তে তা উপভোগ করছেন দু’জনে।
ভালোবাসায় ভয় নেই, ভালোবাসায় রীতি নেই। ভয় আর প্রথাভাঙার সেই সাহস থেকেই কিনা প্রকাশ্যে ভালোবাসা বিনিময় করছেন ওবামা-মিশেল। এমনকি পাশে তাদের মেয়ে মালিয়া বসে থাকা সত্ত্বেও।
একটি অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছেছেন ওবামা ও মিশেল। গাড়ি থেকে নামার আগে কী একটা কথা বললেন ওবামা যে, মিশেলের হাসি থামছেই না।
তারা নাচছেন, শত ক্যামেরা জ্বলছে সেই নাচ ফ্রেমবন্দি করতে। ২০১৩ সালের ২১ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে একটি অনুষ্ঠানের ছবি এটি।
২০১৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর। একটি অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা করছেন ওবামা। একান্তে অর্ধাঙ্গের সেই বক্তৃতা শুনছেন মিশেল।
একটি শোক অনুষ্ঠানে পাশাপাশি নীরব বসে দু’জন। হাতে হাত রেখে থাকতে চাইছেন নির্ভার।
হোয়াইট হাউসে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সেখানে একটু ফিটফাট না হয়ে গেলে কি চলে? এ কথা বলতে বলতেই যেন ওবামার টাই ঠিক করে দিচ্ছেন মিশেল।
কী এক কথা বলতে চেয়েও যেন লজ্জায় বলতে পারছেন না মিশেল। তাকে অভয় দিয়ে ওবামা বুঝি কান পেতে আছেন,  ‘আরে বলো!’
বড় গাড়িতে তো বহু চড়েছি। চলো এবার এই গাড়িতেই চড়ি। ওবামার এ কথায় হাসিই থামাতে পারছিলেন না মিশেল।
দু’জনের হাত এভাবেই রয়েছে ২৭ বছর। পানামা সিটি সমুদ্র সৈকতে অবসর কাটানোর সময় তোলা এ ছবি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৬
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।