ঢাকা, রবিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

আকাশে উড়ছে চীনের তৈরি দূরপাল্লার প্যাসেঞ্জার প্লেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৩ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১৭
আকাশে উড়ছে চীনের তৈরি দূরপাল্লার প্যাসেঞ্জার প্লেন চীনের তৈরি দূরপাল্লার প্যাসেঞ্জার প্লেন সি৯১৯

ঢাকা: দূরপাল্লার যাত্রীবাহী প্লেন আসতে যাচ্ছে মেড ইন চায়নার ব্রান্ডে। আগামী  শুক্রবার সাংহাইয়ে উদ্বোধনী ফ্লাইটে উড়বে চীনের তৈরি দূরপাল্লার প্যাসেঞ্জার এয়ারক্রাফট ‘সি ৯১৯’। ১৬৮ জন যাত্রী বহনে সক্ষম সি৯১৯ এর পাল্লা সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটার।

নতুন এই প্যাসেঞ্জার প্লেনের হাত ধরে যাত্রীবাহী প্লেন নির্মাণের আন্তর্জাতিক বাজারে পশ্চিমা দুই বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা এয়ারবাস ও বোয়িংকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে চীন।

সি৯১৯ মডেলের প্লেনটি নির্মাণ করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কমার্শিয়াল এয়ারক্রাফট কর্পোরেশন অব চায়না বা সংক্ষেপে কোমাক।

চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বাণিজ্য নগরী সাংহাইয়ে শুক্রবার এই প্লেনটি আনুষ্ঠানিকভাবে টেক অফ করবে।

গত কয়েক দশক ধরেই চীন নিজস্ব প্রযুক্তিতে যাত্রীবাহী প্যাসেঞ্জার এয়ারক্রাফট তৈরির চেষ্টা করে আসছে।  সি৯১৯ এ পর্যন্ত চীনে নির্মিত সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী প্লেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যাত্রীবাহী প্লেন নির্মাণের মত হাইটেক শিল্পতেও চীনাদের ধারাবাহিক উন্নতির প্রতিফলন কোমাকের তৈরি এই সি৯১৯ এয়ারক্রাফট।

মাত্র কয়েকদিন আগেই সম্পূর্ণভাবে নিজেদের দেশে তৈরি বিমানবাহী রণতরীর উদ্বোধন করেছে চীন। পাশাপাশি মহাকাশে একটি ভাসমান ল্যাবরেটরিতে কার্গো যানকে স্থাপন করতে সমর্থ হয়েছে তাদের বিজ্ঞানীরা।

এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রির বিশাল বাজার চীন আগে থেকেই পশ্চিমা দুই বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং ও এয়ারবাসের প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্র।

সংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আকাশপথে ভ্রমণকারীর সংখ্যার দিক থেকে ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে চীন।

এয়ারবাস এক হিসেবে জানিয়েছে অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা মেটাতেই চীনের এয়ারলাইন্সগুলোর আগামী দুই দশকে কমপক্ষে ৬ হাজার নতুন প্লেন লাগবে।

নিজের দেশে যাত্রীবাহী প্লেনের এই বিশাল বাজারে ভাগ বসাতেই চীন সরকার নিজেদের প্রস্তুতকৃত যাত্রীবাহী প্লেন নির্মাণের উপর জোর দিয়ে আসছে। যার ধারাবাহিকতায় আকাশে উড়বে কোমাক এর এই সি১৯১।

আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরুর আগেই কোমাক ৫৭০ টি প্লেন নির্মাণের অর্ডার পেয়েছে। সবগুলোই চীনের অভ্যন্তরীণ এয়ারলাইন্সগুলোর থেকে পাওয়া।

বিশ্লেষকদের ধারণা আগামীতে বিশ্ববাজারে বোয়িং ও এয়ারবাসের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে অাবির্ভূত হবে কোমাক।

সি৯১৯ এর আগে গত বছর যাত্রা শুরু করে কোমাকের তৈরি স্বল্পপাল্লার রিজিওনাল জেট ৯০ আসনের এআরজে ২১।

স্বল্প ও মধ্যপাল্লার পাশাপাশি চীন রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে নির্মাণ করছে দূরপাল্লার ওয়াড বডি প্যাসেঞ্জার এয়ারক্রাফট। দূরপাল্লার ওই এয়ারক্রাফটের নাম দেয়া হয়েছে সি৯২৯।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৭
আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।