নরওয়ের রাজধানী অসলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এক কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপের পর ওই জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক সংলাপে আগ্রহের এই ইঙ্গিত দেন। চলতি মাসের শুরুতেই ট্রাম্প সংলাপে আগ্রহ দেখিয়ে বলেছিলেন, কিম জং-উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারলে তিনি সম্মানিত বোধ করবেন।
কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে শনিবার (১৩ মে) দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে। ওই জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকের নাম প্রকাশ না করলেও উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা বিষয়ক কর্মকর্তা চো সন-হুই’র বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম জানায়, ওয়াশিংটনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সংলাপের বিষয়টি পিয়ংইয়ংয়ের বিবেচনায় রয়েছে।
তবে ‘সবকিছু’ বা ‘পরিবেশ’ ঠিক থাকা বলতে ওই কূটনীতিক যেটা বুঝিয়েছেন সেটাকে পারমাণবিক বা ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট বলে উল্লেখ করছে সংবাদমাধ্যমগুলো। উত্তর কোরিয়ার ইঙ্গিত, তাদের কোনো কর্মসূচি বাতিলের দাবি করা ছাড়া আলোচনায় ডাকলে তাতে আগ্রহের যৌক্তিকতা থাকবে। কিন্তু যুক্তরাজ্যের একটি সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক স্টিফেন ইভান্স মনে করেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক বা ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি পরিত্যাগ করে বা সীমিত করলেই যুক্তরাষ্ট্র সংলাপে আগ্রহী হতে পারে।
চো সন-হুই বহু আগে থেকেই পরমাণু কর্মসূচি বিষয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সমঝোতার দায়িত্ব পালন করছেন। তার এ অনেকটা ‘অগ্রগামী’ মন্তব্যের পরই মূলত পিয়ংইয়ং-ওয়াশিংটন সম্পর্কের শীতল বরফ গলতে শুরু করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতির খবরে সম্প্রতি প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর যুদ্ধংদেহী অবস্থান ওই অঞ্চলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। একপ্রকার যুদ্ধাবস্থার মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, তিনি চাইছেন কূটনৈতিক পন্থায় সংকটের সমাধান হোক, কিন্তু মনে হচ্ছে ‘বড় বড় রকমের’ সংঘাত বেঁধে যাবে। ’ তবে, সব শঙ্কা এবার যেন উড়েই যাচ্ছে উত্তর কোরীয় কূটনীতিকদের আকার-ইঙ্গিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৭
এইচএ/