৯.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি শুক্রবার (২৬ মে) সকালে আসামে উদ্বোধন করেন মোদি। এ সেতুর দ্বার উন্মুক্তের ফলে আসাম-অরুণাচল রাজ্যের মধ্যে যোগাযোগে সময় বাঁচলো চারঘণ্টা।
সেতুটি উদ্বোধনের পর এক ৠালিতে মোদি বলেন, ‘দীর্ঘ পাঁচ দশকের অপেক্ষার অবসান হলো...সেতুটি প্রয়াত সংগীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকার নামে পরিচিত হবে’।
সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯৩৮ কোটি রুপি (প্রায় ১ হাজার ১৮০ কোটি টাকা)। দীর্ঘ সেতুর পাশাপাশি এর নির্মাণে এতো কম অর্থ ব্যয় হওয়ার বিষয়টিও বেশ আলোচনায় এসেছে।
ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদী লোহিতের ওপর নির্মিত দুই লেনে বিভক্ত ঢোলা-সাদিয়া সেতুটি হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর নির্মিত দীর্ঘতম সেতু। আসামের রাজধানী গৌহাটি থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দূরে সাদিয়া থেকে শুরু হয়ে সেতুটির অন্য প্রান্ত পৌঁছেছে অরুণাচলের রাজধানী ইটানগর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে ঢোলায়।
২০০৯ সালে ইউনিয়ন ক্যাবিনেটে সেতুটির অনুমোদন হয়, যার নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১১ সালে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি সেতুটি উদ্বোধনের তারিখ থাকলেও নির্মাণ কাজ দেরি হওয়ায় তা পিছিয়ে দেওয়া হয়।
ভারতের সড়ক পরিবহন ও হাইওয়ে মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবং নবযুগ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৭
জেডএস