নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের এই ইঙ্গিত দোহাকে দিয়েছেন রাশিয়ায় নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ওমর গোবাস। যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী দৈনিক গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলাপ করছিলেন গোবাস।
ওমর গোবাস জানান, যদি কাতার তাদের শর্তগুলো না মানে, তবে আরব জোট তাদের বাণিজ্যিক সহযোগীদের কাছে দোহা অথবা রিয়াদ-আবুধাবি বলয়ের যেকোনো একটিকে বেছে নেওয়ার প্রস্তাব দেবে। মিত্ররা রিয়াদ-আবুধাবি বলয়ে চলে এলে তাদের সঙ্গেও কাতারের যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
আরব আমিরাতের এ রাষ্ট্রদূত বলেন, উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থা জিসিসি কাতারের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা এখন দিয়ে রেখেছে, সেটা কেবল আবুধাবি বা তাদের মিত্রদের তরফ থেকে থাকবে না। আরও সুনির্দিষ্ট কিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের চিন্তাভাবনা চলছে।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, আমরা চিন্তা করছি যে, আমাদের বাণিজিক্য সহযোগীদের বলবো- তোমরা বাণিজ্য করতে হয় তাদের বেছে নাও, নতুবা আমাদের...।
আরব জোট মনে করে, মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে কাতারকে কোণঠাসা করে ফেললে দেশটি মোক্ষম শিক্ষা পেয়ে তাদের ‘সমালোচিত’ পররাষ্ট্রনীতি বদলাবে।
সন্ত্রাসবাদে মদদ, আঞ্চলিক অস্থিরতা সৃষ্টি ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপসহ নানা অভিযোগে গত ৫ জুন কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মিশর, লিবিয়া, ইয়েমেনসহ আট দেশ।
এই পরিস্থিতিতে উপসাগরে স্থিতিশীলতা আহ্বান করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রিয়াদের নেতৃত্বে আরবদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। যদিও কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটির অবস্থানসহ নানা স্বার্থ জড়িত থাকার কারণে ট্রাম্প সরাসরি দোহার বিরুদ্ধে কিছু বলেননি।
এই অচলাবস্থার মধ্যে গত ২২ জুন দোহাকে সংকট নিরসনে ১৩টি শর্ত দেয় আরব দেশগুলো। যার মধ্যে আল জাজিরা বন্ধ, ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক গুটিয়ে নেওয়া এবং কাতারে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি বন্ধ উল্লেখযোগ্য।
এই শর্তগুলো ‘অগ্রহণযোগ্য ও বাস্তবায়ন অযোগ্য’ বলে প্রত্যাখ্যান করে কাতার। নিন্দা জানায় তুরস্কও। এরই প্রেক্ষিতে আরব জোটের তরফে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত এই অবস্থান জানালেন। যদিও ইরান-তুরস্কের সমর্থনপুষ্ট কাতার কোনোভাবেই মাথা নোয়াবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৭
এইচএ/