রোববার (৯ জুলাই) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম রোডংয়ের এক সম্পাদকীয়তে উত্তর কোরিয়ার তরফ থেকে বলা হয়েছে, কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে ওয়াশিংটন। আগুন নিয়ে খেলার পরিণতি ভালো হয় না।
গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালানোর পরই এলাকাটিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর পাল্টা হুমকি হিসেবে শনিবার (৮ জুলাই) কোরীয় উপদ্বীপে চারটি যুদ্ধ বিমান নিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে বোমা নিক্ষেপ মহড়া চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার আঞ্চলিক মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া।
উত্তর কোরিয়ার আইসিবিএম পরীক্ষার পর পুরো বিশ্ব তাতে প্রতিক্রিয়া দেখায়। বিশ্লেষকরা মনে করেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রশান্ত মহাসাগর পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে আঘাত হানতে সক্ষম। পারমাণবিক শক্তিধর এ দেশটির এই সফলতাকে একটি ‘বিপজ্জনক মাইলফলক’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ওয়াশিংটনের তরফ থেকে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার যে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তাৎক্ষণিক জবাব দিতেই শনিবারের যৌথ মহড়াটি চালানো হয়। মহড়ায় দেখানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের দুই বোমারু যুদ্ধবিমান শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করছে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধবিমান শত্রুপক্ষের স্থলবাহিনীর কমান্ড পোস্টে নিখুঁতভাবে আঘাত হানছে।
কিন্তু এই যৌথ মহড়ার মাধ্যমে ওয়াশিংটন ও সিউল উত্তেজনা উসকে দিচ্ছে উল্লেখ করে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমটির সম্পাদকীয়তে বলা হয়, দাহ্য বোতলের মুখে আগুন নিয়ে খেলবেন না। বিপজ্জনক এ সামরিক তৎপরতার মাধ্যমে এ এলাকাকে পারমাণবিক যুদ্ধের পথে ঠেলে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৭
জিওয়াই/এইচএ/