সম্প্রতি সিকিমের কাছে ডোকলাম মালভূমিটির অদূরে চীনা সেনাবাহিনীর সড়ক নির্মাণকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। নয়াদিল্লি ও থিম্পু মালভূমিটিকে ভুটানের মনে করলেও বেইজিং দাবি করে চীনের।
নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে বলা হয়, সড়ক নির্মাণে বাঁধা দিলে চটে গিয়ে চীনা সেনাবাহিনী ভারতের দু’টি বাংকার গুড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে পতাকা বৈঠক হলেও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি।
দু’দিন আগে জার্মানির হামবুর্গে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে উদীয়মান অর্থনীতির জোট ব্রিকসের বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাস্যোজ্জ্বল আলাপও এই উত্তেজনায় বরফ ঢালতে পারেনি।
রোববার (৯ জুলাই) দু’দেশের সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ডোকলাম এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য সেখানে দু’পক্ষই সীমান্ত ঘেঁষে সৈন্য-সামন্ত বাড়িয়েছে। গত দু’দিনে ভারতের তরফ থেকে আরও বাড়ানো হয়েছে সেনাসদস্য। কোনো মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত দীর্ঘ সময় এখানে সেনা মোতায়েনের ব্যবস্থা করেছে দু’পক্ষ।
নয়াদিল্লি বলেছে, চীনা সেনাবাহিনী থেকে কোনো আগ্রাসন চালানো হলে পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তবে অবশ্যই কোনো উস্কানিতে আগে জড়িয়ে পড়বে না ভারতীয় সেনারা।
নয়াদিল্লির দাবি, সীমান্ত জটিলতা নিয়ে কূটনেতিক সামাধানই খুঁজছে তারা। যদিও অতীতে সীমান্ত নিয়ে কূটনীতি ব্যর্থ হয়েছে। কারণ চীন বরাবরই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে বলে আসছে, ভূখণ্ড নিয়ে কোনো সমঝোতা করবে না তারা।
এদিকে গত শুক্রবার (৮ জুলাই) ভারতে অবস্থানরত চীনা নাগরিকদের চলাচলে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে নয়াদিল্লিতে অবস্থিত দেশটির দূতাবাস। দু’দিন পরই সীমান্তে সেনা অবস্থান আরও দৃঢ় করে পরিস্থিতি আরও উত্তেজনার দিকে গড়ানোর ইঙ্গিত দিলো ভারত।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২১০৭
জিওয়াই/এইচএ/