বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ঝিয়াওবো’র বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।
ঝিয়াওবো’র পরিবার ও স্বজনদের বরাত দিয়ে সন্ধ্যায় স্থানীয় সংবাদমাধ্যম তার মৃত্যুর খবর দিয়েছে। লিভারের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তবে তার আগে ঝিয়াওবো বন্দি ছিলেন কারাগারে। ‘বাকস্বাধীনতার অপব্যবহারের’ দায়ে তিনি ১১ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন।
পশ্চিমাদের তুমুল সমালোচনার মুখে কারাগার থেকেই গতমাসে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও পশ্চিমারা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বাইরের কোনো দেশেই পাঠানোর দাবি জানিয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা ছেড়ে মানবাধিকারকর্মীর কাজ করতে থাকা ঝিয়াওবো চীনা কর্তৃপক্ষের কাছে ‘অপরাধী’ বলে বিবেচিত হতেন। কারাগারে না থাকলে তিনি অনেক বিধিনিষেধের মুখে থাকতেন। তার স্ত্রী লিও ঝিয়াকে থাকতে হচ্ছিল গৃহবন্দি হিসেবে।
দীর্ঘদিন ধরে কমিউনিস্ট পার্টি শাসিত চীনে গণতন্ত্র ও অধিকারের পক্ষে কাজ করার কারণে ২০১০ সালে তাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৭
এইচএ/