আসাম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এএসডিএমএ) জানিয়েছে, বন্যায় মরিগন জেলায় সবশেষ একজনের প্রাণহানি হয়েছে। ধিমজি, লক্ষ্মীপুর, দারাং, নালবাড়ি, ধুবড়ি, দক্ষিণ আলমারা, গোয়ালপারা, মরিগন, নাগান, কারবি আংলং, ঘোলাঘাটসহ বিভিন্ন জেলার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এদিকে বন্যায় কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের ৩৮ শতাংশ এখনও পানির নিচে রয়েছে। দুইদিন আগেও উদ্যানের ৫০ শতাংশ পানির নিচে ছিলো। বন্যায় উদ্যানের ৭৩ প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। জীবন বাঁচাতে অনেক প্রাণী লোকালয়ে চলে যাওয়ায় চোরাশিকারীদের কবলে পড়ার খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে দক্ষিণ সালমার জেলা, এখানকার তিন লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এরপর ধুবড়িতে প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কর্তৃপক্ষ ১৫টি জেলায় ২৮০টি রিলিফ ক্যাম্প ও ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার চালু করেছে, যেখানে প্রায় ২৩ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৭
জেডএস