গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া এই বিবাদে দফায় দফায় বাক্য ছুড়ে শেষ পর্যন্ত বুধবার (১৯ জুলাই) বিবৃতি দিয়ে পদত্যাগের কথা জানান তিনি।
সংবাদমাধ্যম বলছে, সেনাবাহিনীর জন্য বাজেটে বরাদ্দ কমিয়ে ফেলায়ই দ্বন্দ্বে জড়ান প্রেসিডেন্ট-সেনাপ্রধান।
গত সপ্তাহে সেনাপ্রধান সংসদীয় কমিটিকে বলেন, ৮৫০ মিলিয়ন ইউরোর বাজেট যদি ছেঁটে ফেলা হয়, তাহলে সেনাবাহিনী বেকায়দায় পড়ে যাবে। আমি এটা হতে দেবো না। আমার বুদ্ধি কম থাকতে পারে, তবে আমি জানি, আমি কী অবস্থায় ছিলাম।
পরে প্রেসিডেন্টের নাম উল্লেখ না করে তাকেই ইঙ্গিত করে ফেসবুকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ভিলিয়ার্স বলেন, অন্ধ আনুগত্যের বিষয়টি কেউই মেনে নিতে চায় না।
এই প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার (১৪ জুলাই) এক সমাবেশে সেনাপ্রধানকে উদ্দেশ্য করে প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি আপনার নেতা। সেনাবাহিনীর নোংরা কাপড় ধোয়ার দায়-দায়িত্ব নেওয়াটা আমার জন্য শোভনীয় নয়। এটা নিয়ে কোনো চাপ প্রয়োগের প্রয়োজন নেই, কথা বলারও প্রয়োজন নেই। ’
পদত্যাগের বিষয়টি জানিয়ে বিবৃতিতে সেনাপ্রধান বলেন, এই অবস্থায় ফ্রান্স ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালনে আমি আর নিজেকে যোগ্য মনে করছি না।
একটি সাক্ষাৎকারে এই বিবাদ প্রসঙ্গে ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট বলেন, যদি মতপার্থক্য থেকেই থাকে, তাহলে সে সমস্যাটা সেনাপ্রধানের। তাকে তার অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে।
সেনাবাহিনীর বাজেট ছাঁটাইয়ের এ পরিকল্পনার বিরোধিতা আসছে দেশটির বিরোধী দল, এমনকি প্রেসিডেন্ট ম্যাঁক্রোর নিজ দলের একটি অংশের পক্ষ থেকেও।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
জিওয়াই/এইচএ/