সারাদেশ থেকে ব্যালট বাক্স লোকসভায় নিয়ে আসার পর বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বেলা ১১টায় গণনা শুরু হয়। বিকেল ৫টার মধ্যেই নির্বাচন কমিশন ফলাফল ঘোষণা করবে বলে জানাচ্ছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন লোকসভা ও বিধানসভার মোট ৪ হাজার ৮৯৬ সদস্য। এদের মধ্যে ৭৭৬ জন লোকসভা ও ৪ হাজার ১২০ জন বিধানসভার সদস্য। এবারের নির্বাচনে প্রায় ৯৯ শতাংশ ভোটগ্রহণ হয়েছে, যেটা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের রেকর্ড। কেন্দ্রীয় সংসদ লোকসভা ও রাজ্যের সংসদ বিধানসভাগুলোতে বিজেপি জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় পর্যবেক্ষকরা রামনাথকেই শুরু থেকে এগিয়ে রাখছেন।
৭১ বছর বয়সী রামনাথ উত্তরপ্রদেশের গঙ্গা তীরবর্তী কানপুরের দলিত নেতা। পেশায় আইনজীবী রামনাথ দু’দুবার উত্তর প্রদেশ থেকে বিজেপির রাজনীতিক হিসেবে রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ২০১৫ সালের ৮ আগস্ট তাকে বিহারের গভর্নর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নির্বাচনের মাঠে প্রথমেই ‘মাস্টার স্ট্রোক’ খেলে দেন বলে জানায় সংবাদমাধ্যম। দলিত সম্প্রদায় থেকে বিজেপি যে প্রার্থী নিতে চলেছে, তার আভাস মিলছিল অনেক আগে থেকেই, কিন্তু নামটি সম্পর্কে মোটেই অবগত ছিল না কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী শিবির।
বিজেপি জোট রামনাথকে প্রার্থী ঘোষণা করায় কংগ্রেস জোটও প্রার্থী হিসেবে বেছে নেয় দলিত সম্প্রদায়ের রাজনীতিক ও লোকসভার সাবেক স্পিকার মীরা কুমারকে। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও খোদ প্রার্থী মীরা এ নির্বাচনকে ‘আদর্শের লড়াই’ বলে উল্লেখ করলেও শেষতক রামনাথের ব্যালটেরই পাল্লা ভারী হচ্ছে বলে আভাস দেওয়া হচ্ছে।
বিজেপি জোট তার জয়ের ব্যাপারে এতোটাই নিশ্চিত যে এরইমধ্যে রামনাথের জন্মস্থান কানপুরের কাছে পারাউনখ গ্রামে মিষ্টি বিতরণ শুরু হয়ে গেছে।
নির্বাচনের আলোচনা শুরু হওয়ার পর থেকেই বিদায়ী রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে খবর আসছিলো, তাকে নির্বাচন ছাড়া দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব দেওয়া হলে প্রণব ‘না’ করবেন না। কিন্তু লোকসভা ও রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এ নিয়ে আলোচনা এগিয়ে নেওয়ায় প্রণব আর মনোনয়ন নেননি। ২৫ জুলা্ই মেয়াদ শেষ হচ্ছে বাঙালি রাষ্ট্রপতির। তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবেই রামনাথ বা মীরা কুমার উঠবেন রাইসিনা হিলের ‘রাষ্ট্রপতি ভবনে’।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
এইচএ/