ঘটনার কয়েকদিন আগে বেশ কিছু ভবন নির্মাণ যন্ত্রপাতি চুরির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামেন সেসিল কাউন্টির শেরিফ। সেগুলো একটা বাড়ির মধ্যে লুকানো থাকতে পারে বলে সন্দেহ করেন তিনি।
অবশেষে শেরিফ ড্রোন ব্যবহার করে বাড়িটির উপর নজরদারি করার সিদ্ধান্ত নেন। শেরিফের তত্ত্বাবধানে বাড়িটির উপর দিয়ে ড্রোন উড়িয়ে নেওয়ার সময় সহজেই চুরি হওয়া যন্ত্রগুলো শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
এরপর ড্রোনে ধারণ করা ছবি দেখিয়ে সার্চ ওয়ারেন্ট জারি করান শেরিফ। সবশেষে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেন যন্ত্রগুলো, একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।
পুলিশি তদন্তে এটিই প্রথম সফল ড্রোন অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে। সেসিল কাউন্টির শেরিফ স্কট অ্যাডামস জানান, ড্রোন উড্ডয়নের মাত্র দশ মিনিটের মধ্যেই তারা চুরির মাল খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছিলেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু স্টেটে পুলিশ বাহিনীর নতুন সংযোজন এ প্রযুক্তি।
অপরাধ মোকাবেলায় ড্রোন ব্যবহারের এই অভিনব পদ্ধতিকে স্বাগত জানালেও এর মাধ্যমে যেন মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার সংস্থা এসিএলইউ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৭
এনএইচটি/এএ