সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন উপসাগরীয় দেশের আরোপ করা অবরোধের পর শুক্রবার (২১ জুলাই) প্রথমবারের মতো এ ইস্যু নিয়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া টেলিভিশন ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি জানান, এই অবরোধের কোনো প্রভাব কাতারের ওপর পড়েনি।
সন্ত্রাসবাদে মদদ ও অর্থায়নের অভিযোগে গত ৫ জুন থেকে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশরসহ আটটি দেশ।
টেলিভিশন ভাষণে কাতারের বিরুদ্ধে চালানো প্রতারণাকে বিদ্বেষমূলক হিসেবে উল্লেখ করেছেন কাতার আমির। এ ইস্যুতে ধৈর্য্যের পরিচয় দেওয়ায় দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা সবাই জানেন, কাতারের সব কিছুই স্বাভাবিক গতিতে চলছে।
কাতার আমির বলেন, বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের ক্ষতি থেকে জনগণকে রক্ষা করার সময় এসেছে। যেকোন সমস্যার সমাধানে আমাদের সংলাপের দরজা উন্মুক্ত। তবে সেটা হতে হবে কাতারের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করে।
গত মাসে কাতারের ওপর বেঁধে দেওয়া ১৩ দফা শর্ত থেকে সরে ৬ দফা শর্তের কথা বলে কিছুটা সুর নরম করেছে সৌদি জোট। অবরোধ প্রত্যাহারে তারা কাতারকে ৬ দফা শর্ত মেনে নিতে আহ্বান জানিয়েছে। এ শর্তগুলোর ভেতরে রয়েছে, সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং উসকানি ও উত্তেজনামূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা থেকে বিরত থাকা। এ বিষয়ে কাতার এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
শুক্রবারের ভাষণে সংকট নিরসনে মধ্যস্থতার জন্য কুয়েতের আমিরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কাতার আমির।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৭
জিওয়াই/আরআর