এই আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে এখন খবর ছড়াচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ার ঠিক ১০ মিনিট আগে লালুকে ফোন করেছিলেন নীতিশ। লালু তখন পাটনায় নীতিশেরই বাসভবনের পাশের বাসায়।
একদিনের পদত্যাগ নাটকের পর বিজেপির সমর্থন নিয়ে আবারও মুখ্যমন্ত্রীর আসনেই বসেছেন নীতিশ। মাঝে একদিন সরকার চালিয়ে যাওয়ার অভিলাস দেখিয়েও শেষ পর্যন্ত পাতে বালু দেখতে হলো লালুকে।
নীতিশ ওই ফোনালাপে লালুকে বলেন, ‘লালু জি, আপনার কাছে মাফ চাইছি। আমাকে মাফ করে দিন। ২০ মাস সরকার চালানোর পর আমি আর তা চালিয়ে যেতে পারছি না। আমাকে পদত্যাগ করতেই হচ্ছে। ’
বুধবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যে বেলা নীতিশ তার মিত্র আরজেডি ও কংগ্রেসের জোট ছেড়ে সরকারপ্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিলেও রাতেই খবর আসে, তিনি আসলে বিজেপির সমর্থন নিয়ে ফের সরকার গঠন করছেন। হলোও তাই। রাজ্যে বিজেপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী শিবির সমর্থন দিলো নীতিশকে। তিনি হলেন ফের মুখ্যমন্ত্রী, আর বিজেপির নেতা সুশীল মোদী হয়ে গেলেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী।
মাঝে আনুষ্ঠানিক আস্থাভোট হলেও সেখানে নীতিশ-সুশীলের জয় অনুমিতই ছিল। ফাঁকে মার খেয়ে গেল কংগ্রেস-আরজেডির বিজেপিবিরোধী রাজনীতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৭
জিওয়াই/এইচএ/