শনিবার (২৯ জুলাই) দুই দফায় টুইট বার্তায় ট্রাম্প বেশ কড়া সুরে বলেছেন, উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে চীন ‘কিছু করবে না’, এমন সুযোগ আর তাদের দেওয়া হবে না। কার্যত এই টুইটের মাধ্যমে তিনি উত্তর কোরিয়াকে শায়েস্তা করার পদক্ষেপ বিবেচনার ইঙ্গিতই দিলেন।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) দ্বিতীয় আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষার পর তাদের তরফ থেকে ওয়াশিংটনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, এখন পুরো যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় চলে এসেছে, যার মধ্যে শিকাগো এমনকি নিউইয়র্ক পর্যন্ত রয়েছে।
ট্রাম্প তার টুইটে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে এশিয়ার বড় শক্তি চীনের বাণিজ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বলেন, চীন নিয়ে আমি খুবি হতাশ। আমাদের আগের বোকা নেতারাও চীনের সঙ্গে ব্যবসা করতে গিয়ে বছরপ্রতি বিলিয়ন ডলার খরচ করেছেন। কিন্তু চীন আমাদের জন্য কিছুই করেনি, শুধু কথা বলেই দায় সেরেছে।
তিনি বলেন, আমরা এটা আর এভাবে চলতে দিতে পারি না। চীনই পারে সহজে সমস্যার সমাধান করতে।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের রক্ষায় সব কিছু করারও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন ট্রাম্প।
এদিকে, চীনের অসন্তোষ সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া এ অঞ্চলে যৌথ ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী প্রতিক্ষা ব্যবস্থা থাড সক্রিয় করার কাজ দ্রুতগতিতে চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে সিউল। এরমধ্যেই আবার উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা জবাবে শনিবার কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধবিমান উড়িয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৭
জিওয়াই/এইচএ/