লিন পেশায় মায়ামি ডলফিনস-এর সাবেক চিয়ার লিডার। আর ডেইভ অ্যারনবার্গ ফ্লোরিডার পাম বিচ কাউন্টির পাবলিক প্রসিকিউটর।
গত সপ্তাহে দুজনই এক যৌথ বিবৃতিতে নিজেদের নিজেদের আনুষ্ঠানিক ছাড়াছাড়ির কথা জানিয়েছেন। বলেছেন, সম্মানজনক পন্থায় দুজনই বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নতুন করে পথ চলায় সবার সহযোগিতা চাই আমরা। তাদের এ বিচ্ছেদের খবরটিই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের হট কেক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
লিনের পাবলিক রিলেশনশিপ (পিআর) আইনজীবী বিবৃতিতে জানান, রিপাবলিকান সমর্থক ও ট্রাম্পভক্ত লিন বলেছেন, বিয়ের পর থেকেই তিনি বিচ্ছিন্নতার বোধ নিয়ে দিন কাটছিল তার।
বিয়ে বিচ্ছেদের এ ঘটনাকে পিআর ফার্ম শিরোনাম করেছে, ‘দ্য ট্রাম্প ডিভোর্স’ অর্থাৎ ট্রাম্প-বিচ্ছেদ।
দুজনের পরিণয় নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ‘গসিপ এক্সট্রা’। তাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অঙ্গরাজ্যের (ফ্লোরিডা) অ্যাটর্নি ডেইভ অ্যারনবার্গ আইফেল টাওয়ারের চূড়ায় দাঁড়িয়ে সাবেক এক চিয়ার লিডারকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ২০১৪ সালে। জবাব এসেছিল, ‘আমি রাজি’।
বিবাহ বিচ্ছেদে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বও যে একটি কারণ তা স্বীকার করে লিন বলেন, হিলারি-ট্রাম্প দ্বন্দ্বও বিরোধের আরেকটি কারণ, এটা আমাদের সম্পর্কেও গড়িয়েছে।
ট্রাম্পের প্রচারাভিযান চলাকালে ডেইভকে নিয়ে প্রায় প্রতি সপ্তাহান্তে রিসোর্টে যেতেন লিন। সেরকম একটি দিনের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আমি একদিন লাল কার্পেট ধরে সামনে এগুচ্ছিলাম ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার স্ত্রী মেলানিয়ার সঙ্গে সেলফি তুলতে, ও তখন আড়ালে লুকিয়ে যায়। ইচ্ছে করেই ফটোগ্রাফারের চোখ ফাঁকি দিচ্ছিল। সে চাইতো আমি যেন এরকম ছবি না তুলি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট না দিই। কিন্তু তার কথা শুনিনি।
লিনার এসব সেলফি তোলা ও ফেসবুক পোস্ট করার কারণে তার স্বামীর ডেমোক্রেট সমর্থকরা ফোনে বিরক্তি প্রকাশ করতো। লিনা জানান, কারা ডেইভকে ফোন দিতো তা না জানালেও সে ট্রাম্প বা মেলানিয়ার সঙ্গে তোলা ছবি পোস্ট না করার কথা বলতো।
কোনো সন্তান না থাকাকে বিয়ে বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে দেখানো হলেও আসল কারণ লিনার ট্রাম্প সমর্থন। এভাবেই রাজনীতি এসে দুজনকে আলাদা করে দিল। আর তাতে অদৃশ্য খলনায়ক হয়ে রইলেন ট্রাম্প।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৭
জিওয়াই/জেএম