স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১ আগস্ট) রাষ্ট্রের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থাটির এ পদে তার নিয়োগ চূড়ান্ত করেছে দায়িত্বপ্রাপ্ত পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেট। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্তের জের ধরে বরখাস্ত হওয়া জেমস কোমির স্থলাভিষিক্ত হলেন ক্রিস্টোফার।
ট্রাম্পের পছন্দের এ প্রার্থীর নিয়োগ নিয়ে ভোটাভুটি হলে তার পক্ষেই সায় আসে বেশি। ৯২-৫ ভোটে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রিস্টোফার সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের বিচার বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ক্রিস্টোফারের নিয়োগের বিষয়ে বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির সিনেটর অ্যামি কবোচার বলেন, একটা কঠিন সময়ে কঠিন দায়িত্ব নিতে হচ্ছে তাকে। রাশিয়া নিয়ে তদন্তের জন্য সাবেক এফবিআই প্রধানকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। বরখাস্ত করা হয়েছে সাবেক ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেলকেও। গত ক’মাস ধরে এরকম রদবদলের মধ্যে এটা কঠিন চাকরিই।
জুন মাসেই সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটির অকুণ্ঠ সমর্থন পান ক্রিস্টোফার। তিনি কখনোই এফবিআই’র কার্যক্রমে রাজনীতি ঢুকতে দেবেন না বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করায় প্রশংসিতও হন।
নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়ার পর সিনেটে ক্রিস্টোফার বলেন, আমি সংবিধান ও আইনের শাসনের প্রতি অনুগত। এগুলো সারাজীবনই আমার দিক-নির্দেশনা হিসেবে কাজ করে আসছে। যে কোনো পরীক্ষার মুখোমুখি হই না কেন, আমি সংবিধান ও আইনের শাসন সামনে রেখেই এগিয়ে যাবো।
এফবিআই প্রধানরা ১০ বছরের মেয়াদে নিয়োগ লাভ করেন। দায়িত্বের মাঝামাঝি সময়ে গত মে মাসে কোমিকে বরখাস্ত করে প্রশাসনে এক বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন ট্রাম্প। সেসময় বরখাস্ত এফবিআই প্রধানের বিরুদ্ধে দায়িত্ব যথাযথ পালন করতে না পারার অভিযোগ প্রেসিডেন্ট তুললেও সংবাদমাধ্যম জানায়, আসলে নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ তদন্তকালে ট্রাম্পের নাম এসে যাওয়ায় কোমিকে বরখাস্ত করা হয়। পরে অবশ্য ট্রাম্পের আক্রোশের বিষয়টিই স্পষ্ট হয় কংগ্রেসের শুনানিতে।
ক্রিস্টোফার সবশেষ একটি আইনি প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ২০০১ সালের মে থেকে ২০০৫ সালের মে পর্যন্ত বিচার বিভাগের বিভিন্ন পদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে অপরাধ বিভাগের প্রধানেরও দায়িত্ব নেন। পাশাপাশি প্রধান সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন ক্রিস্টোফার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৭
জিওয়াই/এইচএ/