বুধবার (২ আগস্ট) প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউসে এই বিলে সই করেন ট্রাম্প। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বিলে সাক্ষরকালে ট্রাম্প একটি বিবৃতি সংযুক্ত করেন। সেখানে এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘গভীরভাবে দ্বিধাপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেন। সর্বসম্মতভাবে এই বিল পাস করলেও কংগ্রেসকে সাংবিধানিক কর্তৃত্ব লঙ্ঘনে অভিযুক্ত করেন ট্রাম্প।
বিগত ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ করে আসছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। তাদের সন্দেহ, ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের যোগসাজশে প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের অনেক তথ্য বাগিয়ে নিয়েছে মস্কো, যেটা নির্বাচনের ফলাফলে প্রভাব ফেলেছে।
কিন্তু মস্কো বরাবরই এ ধরনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে আসছে। খোদ ট্রাম্পও রাশিয়ার পক্ষে দাঁড়িয়ে বরাবরই বলে আসছেন, তার প্রচারণা শিবির এ ধরনের কোনো তৎপরতায় জড়িত হয়নি কখনোই। এমনকি এই অভিযোগগুলোকে কেন্দ্র করেই ট্রাম্প প্রশাসনে এফবিআই প্রধানসহ অনেক পদে অপসারণের ঘটনা ঘটেছে।
সম্প্রতি জার্মানির হামবুর্গে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করে ট্রাম্প দু’পক্ষের সম্পর্ক আরও উষ্ণ করার আশাবাদ ব্যক্ত করলেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে উল্টো তিক্তই করলেন।
ইরান ও উত্তর কোরিয়াকে আওতায় রাখা এই নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব কংগ্রেসে পাস হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক কমানোর নির্দেশের লড়াই শুরু হয়। এখন বিলটি অনুমোদনের পর ক্রেমলিন কী প্রতিক্রিয়া দেয় তা-ই দেখার অপেক্ষায় বিশ্ব গণমাধ্যম।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৭
এইচএ/