হাফিংটনপোস্টের খবরে জানা যায়, ওই দ্বীপে উগ্র স্বভাবের একদল বানর গ্রামবাসীদের মধ্যে ভীতি ছড়াচ্ছে। লম্বা লেজের বানরগুলো মানুষের খাবার চুরি করে নিচ্ছে।
স্থানীয় পুলিশ অনেকদিন ধরে এদের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালালেও লাভ হয়নি। তাই এবার সশস্ত্র পুলিশ ও সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাবে প্রশাসন।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান জানান, প্রায় দুই মাস আগে ওই অঞ্চলে বানরদের উৎপাত শুরু হয়। তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে আমাদের গুলি ছুড়তে হয়ছিলো। এরপর কিছুদিন বানরের উৎপাত বন্ধ ছিলো। এখন আবার এরা গ্রামবাসীর ওপর আক্রমণ চালানো শুরু করেছে।
বানরের উৎপাত বন্ধে প্রশাসন ইতিমধ্যেই একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে, যাদের কাজ এলাকার মধ্যে টহল দেওয়া এবং প্রয়োজন দেখা দিলে বানরকে গুলি করা। এছাড়াও বানর ধরার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ফাঁদ।
এভাবে বন্যপ্রাণীকে গুলি করে মারা মানবিকতার লঙ্ঘন কিনা, প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, গ্রামবাসীদের আক্রমণ না করা পর্যন্ত আমরা কোনো বানরকে গুলি করছি না।
ওদিকে ইন্দোনেশিয়ার অ্যানিমেল প্রোটেকশন অ্যাক্টিভিস্টরা মনে করেন প্রশাসনের এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য নয়। আবাস্থল নির্মাণের জন্য বনভূমি ধ্বংস করা হচ্ছে বলেই বানরেরা মানুষের সাথে সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। তাই বলে এভাবে বানরদের মেরে ফেলাটা হবে অমানবিক ও নিষ্ঠুর।
ইন্টারন্যাশনাল অ্যানিমেল রেসকিউয়ের কর্মী রবিথটুল হুদা বলেন, বানররা মানুষের বাসায় হানা দিয়ে খাবার ছিনিয়ে নেয়ার মূল কারণ তাদের খাদ্য প্রয়োজন। মানুষ ব্যবসায়িক কারণে তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থল ধ্বংস করেছে। সেই সাথে বন্ধ হয়ে গেছে তাদের খাবারের উৎস।
তিনি আরও জানান, এভাবে গুলি করে বানর মারার থেকে অনেক ভালো বিকল্প উপায় আছে। গুলতি, বাজি বা পেইন্টবল ব্যবহার করে তাদের তাড়ানো যায়। বানর অনেক বুদ্ধিমান প্রাণী। গুলতি ব্যবহার করে বানরদের ভয় দেখালে তারা মানুষদের আক্রমণ করা অবশ্যই কমিয়ে দেবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৭
এনএইচটি/এমজেএফ