গত শনিবার (৫ আগস্ট) উপসাগরের মেলবোর্ন শহরকূলের ব্রাইটন সৈকতে এ আক্রমণের শিকার হয় স্যাম। সোমবার (৭ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এ খবরটি উঠে এসেছে।
পোকাটি শনাক্ত করার দাবি জানিয়ে তার পরিবার বলেছে, সেদিন সন্ধ্যায় সৈকতে সাগরের কোমর পানিতে নেমে আধঘণ্টার মতো দাঁড়িয়ে ছিল স্যাম। পানিতে থাকার সময় সে কিছুই বুঝতে পারেনি। কিন্তু কূলে ওঠার পরই সে দেখতে পায় তার দু’পা ক্ষতবিক্ষত। দু’টি পা থেকেই দরদর করে রক্ত ঝরছিল।
পরে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। তার বাবা জ্যারড কানিজাই বলেন, স্যামকে দেখে মনে হচ্ছিল যেন সে যুদ্ধক্ষেত্রে বোমা বিস্ফোরণে আহত হয়ে ফিরেছে এবং রক্ত ঝরা বন্ধ হচ্ছিল না। আমরা তখন স্যামকে বাথরুমের শাওয়ারে নিয়ে গেলাম, কিন্তু তাতেও তার রক্ত বন্ধ হচ্ছিল না।
পরে দু’টি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় স্যামকে। কিন্তু চিকিৎসকরাও বুঝতে পারছিলেন না কিছু। তখন জ্যারড নিজেই সিদ্ধান্ত নেন বিষয়টি ঘেঁটে বের করার।
এরপর তিনি সেই সমুদ্র সৈকতে ফিরে গিয়ে দেখেন, সেখানে অসংখ্য পোকা পানির নিচে কিলবিল করছে। জ্যারড জাল ফেলে সেই পোকাগুলো ধরে বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠিয়ে দেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এগুলো কোনো সামুদ্রিক পোকা হতে পারে- যা সাগরের প্রাণীদের মরদেহ খেয়ে বেঁচে থাকে।
পোকাগুলোর নমুনা দেখে সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী ড. জেনেফর ওয়াকার-স্মিথ বলেন, সম্ভবত এগুলো লাইসিয়ানাসিড অ্যামফিপড নামের এক ধরণের সামুদ্রিক কীট।
তবে এ ধরনের ঘটনাকে বিরল উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৭
এইচএ/