রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট বলছে, চলতি বছরে এটি এ অঞ্চলে একটি মানবিক সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে। এ কারণে ওই সব দুর্গত এলাকায় খাদ্য সংকট ও নানা ধরনের পানিবাহিত রোগ দেখা দিচ্ছে চরম আকারে।
আন্তর্জাতিক রেডক্রস সোসাইটির ডেপুটি রিজওনাল ডিরেক্টর মার্টিন ফলার বলেন, বন্যায় বাংলাদেশ ও নেপালের এক-তৃতীয়াশেরও বেশি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আর উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে প্রায় ১১ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাস্তহারা হয়েছে লাখ লাখ মানুষ।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, কয়েক বছরের মধ্যে সৃষ্ট মানবিক সংকটগুলোর মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠছে এবারের বন্যা। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লাখ লাখ লোকের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
‘নেপাল, বাংলাদেশ ও ভারতের লক্ষাধিক মানুষ খাদ্য সংকটের পাশাপাশি দূষিত পানির কারণে নানা ধরনের রোগেও আক্রান্ত হচ্ছে। ’ বন্যায় শুধু উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, গাইবান্ধাসহ ২৭ জেলায় কমপক্ষে ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিবিসি জানায়, উজানে ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে উত্তারাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লাখো মানুষ।
এই অবস্থাকে ‘খুবই নিদারুণ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন সেভ দ্য চিলড্রেনের পরিচালক মার্ক পিয়ার্স। তিনি বলেন, পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে কোনো কোনো কমিউনিটির কাছাকাছি পৌঁছানোও সম্ভব হচ্ছে না।
নেপাল রেডক্রস সোসাইটি বলছে, বন্যায় হিমালয় কন্যা নেপালের দক্ষিণাঞ্চলে কৃষি জমিসহ নানা ফার্ম তলিয়ে গেছে। বন্যা ও ভূমিধসের পর থেকে দেশটির অনেক এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। এতে খাদ্যশস্য নষ্টের পাশাপাশি জনজীবনে নেমে এসেছে বিপর্যয়।
সংস্থাটির মহাসচিব বলেন, আমরা আতঙ্কে রয়েছি এই বন্যার পর ওই অঞ্চলে ব্যাপক খাদ্য সংকট দেখা দেবে।
এদিকে দেশটির আবহাওয়া অফিস বলছে, আবারও ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন দুর্যোগ সহনীয় মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
সেভ দ্য চিলড্রেনের ভারতীয় ব্যবস্থাপক মুরালি কুন্ডুরু বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, এই মৌসুমটায় সাধারণত বৃষ্টিপাত বেশি হয়। তবে এ বছর তা মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
এমএ/