সোমবার (২১ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার নির্ধারিত সামরিক মহড়ার প্রস্তুতি দেখে রোববার (২০ আগস্ট) উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে। দেশটির মুখপত্রের বিবৃতি অনুযায়ী হুঁশিয়ারির খবর দিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম রোডং সিনমুন।
পিয়ংইয়ংয়ের তরফ থেকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া আক্রান্ত হলে এর সেনাবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রে যেকোনো সময় আঘাত করতে পারে। কেবল প্রশান্ত মহাসাগরের সামরিক ঘাঁটি গুয়াম বা কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি হাওয়াই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের যেকোনো স্থান উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর নির্দয় আঘাতের মুখোমুখি হবে।
উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে গত ক’মাস ধরেই পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটন ও তার মিত্র সিউল-টোকিওর বাকযুদ্ধ চলে আসছে। উভয়পক্ষই দিয়ে আসছে পাল্টাপাল্টি হুমকি। যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে উত্তর কোরিয়াকে ‘শায়েস্তা’ করার হুমকি দেওয়া হলে পাল্টা পিয়ংইয়ং গত সপ্তাহে জানায়, তারা গুয়ামে হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে ফেলেছে। তবে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করবে তারা।
এই পর্যবেক্ষণের বার্তা দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার বোধোদয় হয়েছে বলে ‘সাধুবাদ’ জানান। কিন্তু ক’দিন পরই যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া এতদঞ্চলে সামরিক মহড়ার ঘোষণা দিলে তেতে যায় উত্তর কোরিয়া। আর সামরিক মহড়ার দিন ঘনিয়ে আসায় দেশটি দিল চূড়ান্ত বার্তা।
চীন-রাশিয়া উভয়পক্ষকেই সহনশীলতা দেখানোর আহ্বান জানালেও উত্তর কোরিয়া স্পষ্ট করে বলেছে, ‘সামরিক বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে এবং তারাও শত্রুপক্ষের মোকাবেলায় প্রস্তুত। যদি কোনো প্রতিরোধযুদ্ধের প্রয়োজনীয়তার ছিটেফোটাও আভাস দেখা, তবে পরবর্তী যথাযথ পদক্ষেপ নেবে উত্তর কোরিয়ার বাহিনী। ’
এই হুমকির বিষয়ে ওয়াশিংটন বা সিউলের তাৎক্ষণিক কোনো বক্তব্য মেলেনি। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, দু’পক্ষ সামরিক মহড়া চালালে উত্তর কোরিয়াও কোনো বার্তা দিয়ে বসতে পারে। সেটা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে হোক, অথবা অন্য কোনো উপায়ে। কিন্তু এতে উত্তেজনার আগুন যে আরও শিখা বাড়াবে, সে নিয়েই শঙ্কায় কোরীয় অঞ্চলের বাসিন্দারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
এইচএ/