সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে রোহটাকের কারাগারে রায় ঘোষণার পর রাম রহিমের আবাস্থল সিরসায় দু’টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, রায় ঘোষণার আগে থেকেই সিরসার বিভিন্ন স্থানে জড়ো হতে থাকেন রাম রহিমের শিষ্যরা।
এদিকে এ সাজা ঘোষণাকে কেন্দ্র করে হরিয়ানায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেজন্য সতর্ক রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। বিশৃঙ্খলা এড়াতে প্রস্তত রাখা হয়েছে সেনাবাহিনীকেও।
এর আগে বিশেষ নিরাপত্তায় আদালতের বিচারক জগদীপ সিংহকে হেলিকপ্টারে করে কারাগারে স্থাপিত আদালতে নেওয়া হয়।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান জানান, রায়কে কেন্দ্র করে কোনোভাবে শান্তি বিনষ্ট করতে দেওয়া হবে না। সেনাবাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে রাম রহিমের আবাসস্থল সিরসা, পঞ্চকুলা, কারাগার এলাকা রোহটাকসহ পুরো হরিয়ানা, পাশ্ববর্তী পাঞ্জাব, রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশেও।
রোহটাকের পুলিশ প্রধান জানান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্যকে সহায়তা করছে কেন্দ্র। রোহটাকে কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। রোহটাকমুখী সব বাস ও ট্রেন বন্ধ থাকবে।
১৯৯৯ সালে দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে রাম রহিমের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তদন্তের ভিত্তিতে ২০০২ সালে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সিবিআই। এরপর সেই মামলার বিচার করতে হরিয়ানারই পঞ্চকুলায় বিশেষ আদালত স্থাপন করা হয়।
২০০৭ সালে শুনানি শুরুর মাধ্যমে দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে গত শুক্রবার রায় ঘোষণা হয়। ওইদিন গত শুক্রবার সহিংসতায় অন্তত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয় প্রায় ৩০০ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৭
এমএ/