ঘূর্ণিঝড়টি এরইমধ্যে ক্যাটাগরি ৪ হারিকেনে রূপ নিয়েছে। আগামী দুইদিনে এটি আরো শক্তিশালী হয়ে উপকূলে আছড়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার।
হারিকেনের প্রভাবে ১ থেকে ৬ ফুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া ১০ ইঞ্চি বৃষ্টিপাতের কথাও বলা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ‘ইরমা’ কিউবা, ডমিনিক রিপাবলিক, হাইতি, বাহামাসেও তাণ্ডব চালাতে পারে।
এদিকে ঝড়ের প্রস্তুতি হিসেবে পুয়ের্তো রিকো গভর্নর রিকার্ডে রোসিল্লো জরুরি অবস্থা জারি করে ন্যাশনাল গার্ডদের প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজ। প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রয়োজনীয় ফান্ড।
রাজ্যের ৬৭টি কাউন্টিতেই জরুরি অবস্থা জারি করেছেন ফ্লোরিডার গভর্নর রিক স্কট। এইকসঙ্গে স্থানীয় সরকারকে দ্রুতই যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছেন।
এক বিবৃতিতে ফ্লোরিডার গর্ভনর বলেন, বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টির মুভমেন্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে এর গতিপথে রয়েছে ফ্লোরিডা। আমরা যদি এখনই এর প্রস্তুতি না নেই তবে জানমাল রক্ষা করা কঠিন হবে।
এর আগে গত মাসের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্য টেক্সাসে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘হার্ভে’। ঝড়ের প্রভাবে প্রবল বর্ষণে ডুবে যায় রাস্তা-ঘাট। ঘরবাড়ি ডুবে নিরাপদ আশ্রয়ে ছোটেন কয়েক হাজার মানুষ। এতে শেষ খবর পর্যন্ত ৪০ জনের প্রাণহানির তথ্য মিলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৭
জেডএস