শনিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ এই তথ্য প্রকাশ করেছে। গত ১৫ দিনের এই জনস্রোতে রয়েছেন বিভিন্ন বয়সী রোহিঙ্গা জনগণ, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই তুলনামূলক বেশি।
গত বৃহস্পতিবারই এই সংখ্যা ছিল এক লাখ ৬৪ হাজারের মতো। দুইদিনে যা অন্তত ২০ হাজার করে বেড়েছে।
তবে জাতিসংঘের ত্রাণকর্মীরা বলছেন, বাস্তবে সংখ্যা আরও বেশি। ধারণা করা হচ্ছে, তিন লাখ ছাড়িয়েছে রোহিঙ্গা স্রোত।
সংস্থাটির শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র জোসেফ ত্রিপুরা সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, এখনও দিন দিন তাদের পলায়ন বাড়ছে। বহু দূরের পথ পাড়ি দিয়ে মানুষজন বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছেন।
এদিকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়াদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৭৭ মিলিয়ন বা ৭ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার সহায়তা তহবিল ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির বাংলাদেশ মুখপাত্র (ভারপ্রাপ্ত) দীপায়ন ভট্টাচার্য বলেছেন, পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল থেকে জটিল হচ্ছেই। আমরা খাদ্যের জন্য লাখ খানেক টার্গেট করলেও মানুষ তার দ্বিগুণ চলে এসেছেন।
ঘটনার শুরু গত ২৪ আগস্ট দিনগত রাতে যখন রাখাইন রাজ্যে পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরে ‘অভিযানের’ নামে মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। ফলে লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চলে আসছেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। সহিংসতার শিকার হয়ে গত বছরের অক্টোবরেও প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৭
আইএ