ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারে ‘জাতিগত নিধন’ চলছে: জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭
মিয়ানমারে ‘জাতিগত নিধন’ চলছে: জাতিসংঘ ভিটে-বাড়ি থেকে পালিয়ে দেশান্তরী হয়ে কাঁদছে রোহিঙ্গারা

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান তাদের ‘জাতিগতভাবে নির্মূল’ করার শামিল বলে মনে করছে জাতিসংঘ। বিশ্বের রাষ্ট্রগুলোর এ জোট বলছে, মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর এই রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযান পাঠ্য বইয়ের ‘জাতিগত নিধনের’ উদাহরণ হয়ে থাকবে।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের প্রধান জেইদ রাদ আল-হুসেইন এক বিবৃতিতে সংস্থার এমন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। তিনি বিবৃতিতে রাখাইনে সেনাবাহিনীর নিষ্ঠুর অভিযান বন্ধের আহ্বানও জানান।

জেইদ রাদ আল-হুসেইন বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের টার্গেট করে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান মনে হচ্ছে কোনো পাঠ্য বইয়ের ‘জাতিগত নিধনে’র উদাহরণ।  

‘নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠী মিলে রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে বলে আমরা কিছু প্রতিবেদন ও স্যাটেলাইট চিত্র পেয়েছি। পেয়েছি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট তথ্যও, যেখানে পলায়নরত বেসামরিক নাগরিকদের গুলি করার কথাও আছে। ’

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সরকারের চলমান সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের এই প্রধান বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিস্তৃত ও চরম বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধ করতে হবে এবং যত সহিংসতা হয়েছে, সেসব ঘটনার বিচার করতে হবে।

জাতিসংঘের তদন্তকারীদের রাখাইন রাজ্যে ঢুকতে না দেওয়ায় সেখানকার পরিস্থিতি পুরোপুরি নির্ণয় করা যাচ্ছে বলেও জানান আল-হুসেইন।

জাতিসংঘের আপাত হিসাব মতে, রাখাইনে গত ২৫ আগস্ট নতুন করে রোহিঙ্গাবিরোধী সামরিক অভিযান শুরুর পর এখন পর্যন্ত হাজারোধিক মানুষ নিহত হয়েছে। সহিংসতার মুখে ঘরবাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে ৩ লাখ ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষ।

কক্সবাজারে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) কার্যালয়ের প্রধান কর্মকর্তা জন ম্যাককিসিক বলছেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা পুরুষদের হত্যা করছে, শিশুদের জবাই করছে, নারীদের ধর্ষণ করছে। আর অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালাচ্ছে বাড়িঘরে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।