পেন্টাগন বলছে, যে কোনো ধরনের হুমকিকে মোকাবেলার সামরিক শক্তি যে যুক্তরাষ্ট্রের আছে, তা দেখাতেই শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বোমারু ও জঙ্গি বিমানের এই উড্ডয়ন।
একই সঙ্গে একুশ শতকে সুদূর উত্তরে মার্কিন বোমারু বিমান পৌঁছানোর ঘটনা এটিই প্রথম বলে জানানো হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের বাকযুদ্ধের মধ্যেই জঙ্গি বিমানের মহড়া এক নতুন দিকে মোড় নিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যে উত্তর কোরিয়ার ‘বেপরোয়া আচরণ’কে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে তা বোঝানোর জন্যেই এই শক্তি প্রদর্শন করা হয়েছে।
সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে বাধ্য করা হলে ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ করে দেওয়ার কথা বলে উত্তর কোরিয়াকে হুঁশিয়ারি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এ সময় উত্তর কোরীয় প্রেসিডেন্ট কিম জং উনকে ‘রকেটম্যান’ বলেও আখ্যা দেন তিনি।
এর জবাবে বর্তমানে নিউইয়র্কে অবস্থান করা দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং হো’স ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘কুকুরের ঘেউ ঘেউ’ করছেন তিনি।
এরপর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উ. কোরিয়ার প্রধান এ কূটনীতিক বলেন, ‘ট্রাম্প নিজেই একটা আত্মঘাতী মিশনে নেমেছেন। তার এই আত্মঘাতী মিশনের কারণে যদি মার্কিন বেসামরিক নাগরিকের কোনো ক্ষতি হয় তাহলে এই ক্ষেত্রে দায়ী থাকবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ’
তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা, শ্রম, সাধনা ও সংগ্রামের পর উত্তর কোরিয়া অবশেষে পরমাণু অস্ত্র প্রাপ্তির দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েছে। ফলে তাদের উপরে যত কঠিন অবরোধই দেওয়া হোক না কেন, সেখান থেকে তারা এখন পিছু হটবে না।
এ সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত’ বলেও মন্তব্য করেন রি ইয়ং হো’স।
উত্তর কোরীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষা করতে প্রয়োজনে পূর্ণাঙ্গ মাত্রায় সামরিক শক্তির ব্যাবহারের প্রস্তুতি যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের রয়েছে।
দুই দেশের নেতাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর জঙ্গি ও বোমারু বিমানের উড্ডয়ন যে নতুন করে উত্তেজনায় শান দিয়েছে- তা বলাই যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭
এমএ/