ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গা ইস্যু: নজর নিরাপত্তা পরিষদে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৭
রোহিঙ্গা ইস্যু: নজর নিরাপত্তা পরিষদে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এক রোহিঙ্গা কিশোর, ছবি: বাংলানিউজ

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারের রাখাইনের সহিংসতা নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে বসছে। এতে পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা সংকট নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের বক্তব্য শুনবেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাতে নিউ ইয়র্কে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।  

জাতিসংঘ বারেবারে মিয়ানমারকে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।

কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। তারা মানুষ হত্যা, ধর্ষণ, গণধর্ষণ থেকে শুরু করে মানবতাবিরোধী সবরকম কাজই করেছে। মনে করা হচ্ছে, এবারের বৈঠকে সহিংসতা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের জন্য নিজ দেশে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে বার্তা আসবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের দেওয়া সেফ জোন প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা হবে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মিয়ানমারে সামরিক দমনপীড়নের কারণে সাড়ে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করায় ব্রিটেন, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও অপর চারটি দেশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরিষদ এ বৈঠকে করতে যাচ্ছে।

মিয়ানমার ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের জন্য মিসর, কাজাখস্তান, সেনেগাল ও সুইডেনও আবেদন জানায়। যদিও দেশগুলোর কোনটিই পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয়।

জাতিসংঘ মিয়ানমারের এই সামরিক অভিযানকে ‘জাতিগত নিধন’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। এদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ গত সপ্তাহে আবারও এটিকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে বর্ণনা করেন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সংখ্যালুঘু মুসলমানদের বিরুদ্ধে ‘বৌদ্ধ সন্ত্রাস’ চালানোয় মিয়ানমারকে দায়ী করে এ গণহত্যার কঠোর নিন্দা জানান।

জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইএমও) বলছে, সহিংসতার শিকার হয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার লাখ। তবে বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে। সহিংসতায় প্রাণ গেছে তিন হাজারের বেশি মানুষের। বেসরকারিভাবে এই সংখ্যা দশ হাজার পার করেছে মধ্য সেপ্টেম্বরেই।

ঘটনার শুরু গত ২৪ আগস্ট দিনগত রাতে রাখাইনে যখন পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরে ‘অভিযানের’ নামে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। ফলে লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চলে আসছেন।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। সহিংসতার শিকার হয়ে গত বছরের অক্টোবরেও প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৭
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।