শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে এই কথা জানানো হয়েছে। গত ২০১৬ সাল থেকে শুরু হওয়া এই সমস্যার প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন জানান, হাভানায় মার্কিন দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত ‘বিবেচনা করা হচ্ছে’।
পররাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে শুক্রবার মার্কিন নাগরিকদের কিউবা সফর থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, দূতাবাসের পাশাপাশি অনেক হোটেলেও এই রহস্যজনক আক্রমণ ঘটছে।
প্রাথমিকভাবে সনিক অ্যাটাক বা শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে আক্রমণের কথা বলা হলেও এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য জানা যাচ্ছে না। সন্দেহজনক সনিক অ্যাটাকের কারণে মস্তিষ্কে ক্ষতি, কানে না শোনা, মাথা ঘোরা এবং বমি বমি ভাবের সম্মুখীন হচ্ছেন দূতাবাসের কর্মীরা। এখন পর্যন্ত ২১ জন দূতাবাস কর্মীর অসুস্থ হওয়ার খবর মিলেছে, যার মধ্যে দু’জন কানাডিয়ানও রয়েছেন।
কী ধরনের এই আক্রমণ তা বুঝতে এফবিআই, রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ এমনকি কিউবান কর্তৃপক্ষ তদন্ত চালালেও কিছু বোঝা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কম গুরুত্বপূর্ণ সব দূতাবাসকর্মীকে সপরিবারে হাভানা ত্যাগের কথা বলা হচ্ছে। কেবল ‘জরুরি দায়িত্বরত কর্মকর্তারা’ কিউবায় থাকুন। পরিস্থিতি বিবেচনায় কিউবার ভিসা প্রক্রিয়াও অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
কিউবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্ন থাকার পর প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে পুনর্স্থাপিত হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে হাভানায় নিযুক্ত দূতাবাস পুনরায় চালু করে ওয়াশিংটন। ১৯২৮ সালের পর ২০১৬ সালে প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কিউবার সফর করেন ওবামা। এতে দু’দেশের সম্পর্কের পালে নতুন করে হাওয়া লাগে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর ওবামার কিউবা নীতির কিছুটা বদল করে ফেললেও জানান, তিনি হাভানায় নিযুক্ত দূতাবাস বন্ধ করবেন না। এই অবস্থার মধ্যেই এমন ‘রহস্যজনক আক্রমণ’ কিউবা-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে নতুন আলোচনা তৈরি করছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৭
এইচএ/