বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে সংস্থাটির জরুরি ত্রাণ সমন্বয়কারী মার্ক লোকক এবং ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক অ্যানথনি লেক এই আহ্বান জানান। যাতে বলা হয়েছে, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও ক্রমবর্ধমান শরণার্থী সমস্যা’।
তারা বাংলাদেশ সরকার এবং বাঙালিদের উদারতার কথা উল্লেখ করে বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ে অসাধারণ মনোভাব দেখিয়েছেন সবাই। দ্রুতই অস্থায়ীভাবে থাকার জায়গা করে দিয়েছেন। তবে এখন বড় অর্থায়ন দরকার। যাতে বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য, বাসস্থান, বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া যায়।
জরুরি ভিত্তিতে ৪৩০ মিলিয়ন ডলার (তিন হাজার ৫২৬ কোটি টাকা প্রায়) দরকার, যা ত্রাণ কার্যক্রম এগিয়ে নিতে কাজে দেবে।
সেন্ট্রাল এমারজেন্সি রেসপন্স ফান্ড (সিইআরএফ) থেকে আরও ১২ মিলিয়ন ডলার (৯৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা প্রায়) ইতোমধ্যে সংযুক্ত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বলছে, রাখাইন রাজ্যে গণহত্যায় এখন পর্যন্ত পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা পাঁচ লাখ সাত হাজার ১২৫ জন। তবে বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা সাড়ে ছয় লাখ ছাড়িয়েছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। সহিংসতায় প্রাণ গেছে তিন হাজারের বেশি মানুষের। বেসরকারিভাবে এই সংখ্যা দশ হাজার পার করেছে মধ্য সেপ্টেম্বরেই। কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদল সেখানে কাজ করার সুযোগ না পাওয়ায় নতুন তথ্য জানা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৭
আইএ