ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মানুষখেকো চিতার খোঁজে সেনা জওয়ান, পুলিশ, শ্যুটার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৭
মানুষখেকো চিতার খোঁজে সেনা জওয়ান, পুলিশ, শ্যুটার  মানুষখেকো চিতার খোঁজে সতর্ক সেনা জওয়ানরা।

ঢাকা: পাহাড়ি বনে মানুষখেকো চিতা খুঁজে হয়রান সেনা জওয়ান আর পুলিশ। হিমালয়ের কোলে অর্ঘকাঞ্চি জেলার দিকুরা ও কাঞ্চিকোট বনাঞ্চলের ওই চিতা বা চিতার দল কিছুতেই ধরা দিচ্ছে না তাদের কাছে। দক্ষ শ্যুটার ও অভিজ্ঞ বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞসহ চিতওয়ার প্রকৃতি সংরক্ষণ জাতীয় ট্রাস্টের একটি দলকেও নিয়োজিত করা হয়েছে এ কাজে। কিন্তু রোববার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো হিংস্র পশুর চিহ্ন খুঁজে পায়নি তারাও।

অথচ বালুখোলা এলাকায় গত দু’সপ্তাহেই অন্তত ২ জন শিশু নিহত হয়েছে চিতাবাঘের আক্রমণে। গত ৫ বছরে এভাবে চিতার আক্রমণে এখানে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় এক ডজন শিশু।

ত‍াই দিকুরা, কাঞ্চিকোট আর বালুখোলার মানুষ দিন কাটাচ্ছে চরম আতঙ্কে।

যদিও খুনি চিতাকে ধরতে জেলা কমিটি প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ টিম মোতায়েন করেছে বনে। কিন্তু ভালোই ভেলকি দেখাচ্ছে চালাক চিতা।

প্রকৃতি সংরক্ষণ জাতীয় টাস্ক ফোর্সের শ্যুটার হারকামান লামা বলেন, হিমালয়ের এবড়ো থেবড়ো ভূমি চিতা খোঁজার কাজ কঠিন করে তুলেছে। গত ৬ দিন ধরে বনে আমরা চিতা খুঁজছি।

বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা চিতাগুলোকে ধরে খাঁচায় ভরে ন্যাশনাল পার্কে নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার ফন্দি এঁটেছেন। তবে ওয়াইল্ডলাইফ টেকনিশিয়ান প্রকাশ চৌধুরী বলেছেন, ধরতে ব্যর্থ হলে খুনি চিতাকে গুলি করে মেরেই ফেলতে হবে আমাদের।  

স্থানীয়রা বলছেন, তারা লোকালয়েও একাকি হাঁটতে ভয় পাচ্ছেন। শিশুরা স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তাম্মান কেসি নামে বালুখোলা এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, আমাদের ক্ষেতে কৃষিকাজ করাও লাটে উঠেছে চিতার ভয়ে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৭
জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।