বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে কক্সবাজারে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে শনিবার (০৭ অক্টোবর) থেকে। চলবে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) পর্যন্ত।
স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র তারিক জসরেভিক বলেন, টিকা খাওয়ানো হচ্ছে। এটি অত্যন্ত জরুরি ছিল। নয়তো মহামারি আকারে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছিল।
চারদিনে সাড়ে ছয় লাখ রোহিঙ্গাকে টার্গেট করে টিকা খাওয়া কার্যক্রম চলছে বলেও জানান তিনি। এ জন্য ২০০টি টিম কাজে নিয়োজিত। দুই সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ধাপে ওষুধ খাওয়ানো হবে।
তারিক জসরেভিক বলেন, দ্বিতীয় ধাপে প্রায় আড়াই লাখ শিশু, যাদের বয়স শুন্য থেকে পাঁচ তারাই ওষুধ খাবেন।
নতুন করে আসা রোহিঙ্গা ছাড়াও পুরাতনদেরও এই ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বলছে, এখন পর্যন্ত পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় সোয়া পাঁচ লাখ। তবে বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা সাড়ে ছয় লাখ ছাড়িয়েছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। সহিংসতায় প্রাণ গেছে তিন হাজারের বেশি মানুষের। বেসরকারিভাবে এই সংখ্যা দশ হাজার পার করেছে মধ্য সেপ্টেম্বরেই। কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদল সেখানে কাজ করার সুযোগ না পাওয়ায় নতুন তথ্য জানা যাচ্ছে না।
ঘটনার শুরু গত ২৪ আগস্ট দিনগত রাতে রাখাইনে যখন পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরে ‘অভিযানের’ নামে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। ফলে লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চলে আসছেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। সহিংসতার শিকার হয়ে গত বছরের অক্টোবরেও প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৭
আইএ