ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গা ঠেকাতে সেভেন সিস্টারসে কড়াকড়ি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৭
রোহিঙ্গা ঠেকাতে সেভেন সিস্টারসে কড়াকড়ি মানচিত্র

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার মধ্যেই ভারত সরকার সুপ্রিম কোর্টকে লিখিতভাবে জানিয়েছে, অন্তত ৪০ হাজার রোহিঙ্গা দেশটিতে বাস করছেন। তাদের জন্য জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার জোর শঙ্কা রয়েছে। বার্তাটি ছিল গত মাসের (সেপ্টেম্বর)।

ভারত-শাসিত জম্মু-কাশ্মীর ছাড়াও দিল্লি, হায়দ্রাবাদ, গুজরাট ও মুম্বাইয়ে এসব রোহিঙ্গার বাস। রাজ্যগুলো মূলত উত্তর-পশ্চিমাংশের।

সেখানে রোহিঙ্গা বিষয়ে কড়াকড়ি তো রয়েছেই। তবে এবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য অর্থাৎ সেভেন সিস্টারসে রোহিঙ্গা সতর্কতায় দেশটি।

উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্যের সঙ্গে মিয়ানমারের কোনো সীমান্ত নেই। কিন্তু রাজ্যটিতে ঠিকই জারি আছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ) সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। নৌ ও স্থলে সার্বক্ষণিক টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিএসএফের আসাম ফ্রন্টিয়ারের আইজি রাকেশ আগরওয়াল বলেন, স্থলসীমান্তে ইতোমধ্যেই বেড়া দেওয়ার কাজ অনেকটাই হয়ে গেছে। তবে নদী পথের সীমান্ত নিয়েই যতো বিপত্তি। আসামের ইন্দো-বাংলা সীমান্তের দৈর্ঘ্য ২৬২ কিলোমিটার, এর মধ্যে ৪৮ কিলোমিটারই জলজ।  

তিনি বলেন, নৌ-সীমান্তে কড়া টহল দিতে ব্যাটালিয়ন নিয়োগ করা হয়েছে।  

এখন পর্যন্ত কোনো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা আসামে ঘটেনি বলেও জানান রাকেশ আগরওয়াল।

কেবল আসাম নয়, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ডেও সীমান্তে টহলদারি চলছে। বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ টহল কাজ চালালেও মিয়ানমার সীমান্তে কাজ করছে আসাম রাইফেলস।

এদিকে মিজোরামের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর লালজিরিলিডিয়ান বলেছেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রুখতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া আছে। মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্তে চলছে কড়া নজরদারি।  

তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৭০ জন রাখাইন বাসিন্দাকে ফেরত পাঠিয়েছে প্রশাসন।

মিজোরামের মিয়ানমারের সঙ্গে রয়েছে ২৫০ কিলোমিটার সীমান্ত। বাংলাদেশের সঙ্গে এই রাজ্যটির সীমান্তের দৈর্ঘ্য ৩১৮ কিলোমিটার।

পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) উত্তর-পূর্ব ভারত সরকারের একটি বিশেষদল ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা পরিদর্শন করবে বলেও জানা গেছে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বলছে, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় সোয়া পাঁচ লাখ। তবে বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা সাড়ে ছয় লাখ ছাড়িয়েছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। সহিংসতায় প্রাণ গেছে তিন হাজারের বেশি মানুষের। বেসরকারিভাবে এই সংখ্যা দশ হাজার পার করেছে মধ্য সেপ্টেম্বরেই। কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদল সেখানে কাজ করার সুযোগ না পাওয়ায় নতুন তথ্য জানা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৭
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।