ইসরায়েল বিরোধী পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে সংস্থাটির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করছে দেশটি। যা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলছে, প্যারিস ভিত্তিক সংস্থাটিতে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র একটি পর্যবেক্ষণ মিশন প্রতিষ্ঠা করবে। যাতে সদস্য না হয়েও এর কার্যক্রমে অবদান রাখা যায়।
তবে ইউনেস্কো থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়টিকে ‘অত্যন্ত পরিতাপের’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এর প্রধান ইরিনা বকোভা।
তিনি বলেন, এ সরে যাওয়া ‘জাতিসংঘ পরিবার’ এমনকি এমনকি যুক্তরাষ্ট্রসহ সবপক্ষের জন্য ক্ষতিকর।
এর আগে ২০১১ সালে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রতিবাদে ইউনেস্কোর চাঁদা দেওয়া বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। পরে দুই বছর চাঁদা বকেয়া পড়ে যাওয়ায় ২০১৩ সালে দেশটির ভোটাধিকার স্থগিত করে ইউনেস্কো।
এদিকে কূটনীতি বিষয়ক ম্যাগাজিন ফরেন পলিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইউনেস্কো থেকে সরে যাওয়ার পেছনে অন্য কারণও রয়েছে। আর তা হচ্ছে চাঁদা না দেওয়ার পাঁয়তারা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, সম্প্রতি জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় আর্থিক অবদান রাখলেও তা নিয়ে কি হচ্ছে তার সমালোচনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এর ক’দিন পরই বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এটি ইউনেস্কোর বাড়তে থাকা বকেয়া, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পক্ষপাত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগেরই বহিঃপ্রকাশ। এ সংগঠনের আমূল সংস্কার প্রয়োজন বলে যুক্তরাষ্ট্র মনে করে।
জাতিসংঘের সাধারণ বাজেটে যুক্তরাষ্ট্রের চাঁদার হার ২২ শতাংশ। এছাড়াও সংস্থাটির শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ২৮ শতাংশ অর্থ দেয় দেশটি।
এদিকে বর্তমানে ইউনেস্কোর নতুন নেতা নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এর মধ্যে কাতারের সাবেক মন্ত্রী হামাদ বিন আবদুল আজিজ আল-কাওয়ারি এবং ফ্রান্সের অদ্রে আজুলের নাম শোনা যাচ্ছে। তাদের মধ্যেই একজন মিস বকোবার স্থলাভিষিক্ত হবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
এমএ/