হোয়াইট হাউসের কয়েকজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবরই দিচ্ছে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম। তারা জানাচ্ছে, এ বিষয়ে ইউরোপ ও চীনে সমপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে শলা-পরামর্শ করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন।
আমেরিকান সংবাদমাধ্যম বলছে, চুক্তি থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাদের সমর্থন তুলে নিলে দেশটির পার্লামেন্ট কংগ্রেস ইরানের ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করতে ৬০ দিন সময় পাবে। তারপর প্রেসিডেন্টের অনুমোদনক্রমে ফের ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে দেশটি।
তেহরান পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করবে এবং কোনো মারণাস্ত্র প্রস্তুতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করবে না-- এমন বেশ কিছু শর্তে তাদের ওপর থেকে পশ্চিমাদের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অঙ্গীকার সম্বলিত চুক্তিটি গত ২০১৫ সালের জুলাইয়ে সই হয়। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সেই চুক্তিতে ছিল জাতিসংঘের বাকি চার স্থায়ী সদস্য যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া এবং জার্মানি (ছয় বিশ্বশক্তি)।
শর্ত মানতে থাকায় পরের বছরের জানুয়ারিতে তেহরানের ওপর থেকে ২০০৬ সালে আরোপিত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে দীর্ঘসময় পর পাশ্চাত্যসহ পুরো বিশ্বের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক লেনদেন পুনর্স্থাপিত হয় ইরানের।
কিন্তু চলতি বছর ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলতে থাকেন, ‘এই চুক্তি ইতিহাসের অন্যতম বাজে সিদ্ধান্ত’। ইরান তাদের শর্ত মানছে না, সুতরাং যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তিতে আর থাকতে পারে না।
কিন্তু চুক্তি বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণক আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) পক্ষ থেকে ইরান তাদের চুক্তির শর্ত মানছে বলা হলেও ট্রাম্প কারও কথা শুনছেন না।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রকে এই চুক্তিতে থাকার জন্য আহ্বান জানালেও গত সপ্তাহেই ট্রাম্প জানিয়ে দেন, শিগগির তিনি এ চুক্তি থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেবেন। ফলে কংগ্রেস বসবে চুক্তি লঙ্ঘন পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণে, যেটা খোলাসা করে বললে, পুনরায় নিষেধাজ্ঞা এবং তেহরান-ওয়াশিংটন পুনরায় উত্তেজনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৭
এইচএ/