ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

শেষ বড় ঘাঁটি থেকেও আইএসকে তাড়ালো সিরিয়ার আর্মি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৭
শেষ বড় ঘাঁটি থেকেও আইএসকে তাড়ালো সিরিয়ার আর্মি অ্যাকশনে সিরিয়ার সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান

ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) সিরিয়ার উত্তর-মধ্যাঞ্চলে নিজেদের কথিত সবশেষ বড় ঘাঁটি দেইর আল-জৌর থেকেও উৎখাত করেছে সরকারি বাহিনী। এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ‘শহর পুরোপুরি সন্ত্রাস-মুক্ত’।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সিরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমে দেইর আল-জৌর প্রদেশের শহরটিকে পুনর্দখলের এ ঘোষণা দেওয়া হয়। আইএসের একসময়ের রাজধানী ‘রাক্কা’ থেকে পূর্ব-দক্ষিণে ঐতিহাসিক ফোরাত নদীর উপকূলে দেইর আল-জৌর শহরের অবস্থান।

এ শহরে কেমন প্রাণহানি হয়েছে সে বিষয়ে কিছু বলছে না রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। কিছু পর্যবেক্ষক সংস্থা বলছে, সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ও তাদের মিত্ররা এখন দেইর আল-জৌরের শেষ কিছু এলাকা ‘শত্রুমুক্ত’ করছে।

মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা এসওএইচআর বলেছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে লড়াইয়ের পর প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত সরকারি বাহিনী ও তাদের মিত্ররা শহরটি পুনর্দখলে নিয়েছে।

দেইর আল-জৌর প্রদেশের আর মাত্র হাতেগোনা কয়েকটি জায়গায়ই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে আইএস। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সমর্থনপুষ্ট সিরিয়ার সরকারি বাহিনী এই জায়গাগুলোও শত্রুমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে।

আরব বসন্তের জেরে ২০১১ সালে উত্তাল হয়ে পড়া সিরিয়া ও ইরাকের কিছু অংশ দখলের পর খেলাফত ঘোষণা করে আইএস। সেসময় রাক্কাকে রাজধানী ঘোষণার পাশাপাশি ২০১৪ সালে দেইর আল-জৌরও দখল করে নেয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি। ইরাক সীমান্তের কাছের হওয়ার কারণে এই শহরেরও অবস্থান কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আইএসের তাণ্ডবের মুখে এই প্রদেশ থেকে সাড়ে ৩ লাখ মানুষ পালিয়ে যায়।

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা সহযোগিতায় লড়াইরত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) গত মাসে ‘রাক্কা’ থেকে আইএসকে উৎখাত করলে দেইর আল-জৌর পুনর্দখলের পথ সুগম হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।